ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নাতির বিয়ে মেনে নেয়ায় শনিবার বিকেলে এক বৃদ্ধকে দা’ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। এসময় ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে নিহতের ছোট ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতের নাম আব্দুল কাদির (৭৫)। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বাঘিয়া মধ্য পাড়া গ্রামে।
নিহতের জামাতা ইকবাল হোসেন ও আহত ছেলে জুয়েলসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বাঘিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের সরকারী জমিতে স্বপরিবারে বাস করেন আব্দুল কাদির। গত দু’সপ্তাহ আগে আব্দুল কাদিরের নাতি মাসুম (২২) পাশর্^বর্তী দিগধা গ্রামে বিয়ে করে। কিন্তু মাসুমের বাবা বাদল (৪০) এ বিয়ে মেনে নেয় নি। তবে মাসুমের দাদা এ বিয়ে মেনে নেয়ায় বাদল বাবা কাদিরের উপর ক্ষুব্ধ হয়। এতে পরিবারের মাঝে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। বাদল কয়েকদিন ধরে মাসুমকে তার শ^শুড় বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে বাদলের সঙ্গে তার বাবা ও ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বাকবিতন্ডা চলছিল। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় বাদলের সঙ্গে তার ছেলে মাসুমের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় বাদল দা’ নিয়ে মাসুমকে তাড়া করলে মাসুমের বোন জুঁই ডাক চিৎকার দেয়। এতে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে বাদল তার বাবা আব্দুল কাদিরের উপর হামলা করে এবং তাকে দা’ দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে কাদির ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় আব্দুল কাদিরকে রক্ষা করতে তার (কাদিরের) ছোট ছেলে জুয়েল (৩৮) এগিয়ে এলে বাদল তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রক্ত মাখা দা’ নিয়ে বাদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি গুরুতর আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
কাপাসিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল কাদিরের ডান হাতের কব্জি ও বাহুর হাঁড় কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত জুয়েলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাদল পলাতক রয়েছে। এব্যপারে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে