ক্রাইমবার্তা রিপোট:গোদাগাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণকারী সুমাইয়ার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুমাইয়াকে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক সাইফুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলতাফ হোসেনকে আলতাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী থানার এসআই নাইমুল হক বাদী হয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা এবং বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। সুমাইয়াসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুর আলম মুন্সি বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করায় আত্মসমর্পণকারী সুমাইয়াসহ ১৫ জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকালে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ হিসেবে নিহত পাঁচ জঙ্গিও মরদেহ নগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে দাফন করে কোয়ান্টম ফাউন্ডেশন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপজেলার বেনীপুর গ্রামের সাজ্জাদ আলী ওরফে মিষ্টুর (৫০) বাড়িটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়। কিন্তু জঙ্গিরা তাতে সাড়া দেয়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তখন বাড়িতে পানি স্প্রে করা শুরু করে। এ সময় জঙ্গিরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এক নারী জঙ্গি প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিনকে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন।
শুক্রবার বেনীপুরে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন সান ডেভিল’ সমাপ্ত ঘোষাণা করে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ জানান, জঙ্গি আস্তানা থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও ১১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী বেলী আকতার (৪৫), মেয়ে কারিমা খাতুন (১৯) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশরাফুল নিহত হয়। আর অভিযানের পর সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়া পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাড়ি থেকে সুমাইয়ার দুই শিশু সন্তানকেও উদ্ধার করা হয়।