ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: প্রথম বৈদেশিক সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইহুদিদের চিরকালের ভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইসরায়েলে দুদিনব্যাপি সফরের শেষ দিনে ইতালির ভ্যাটিকান সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পূর্বমহুর্তে জেরুজালেমে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এমন আখ্যা দেন। সমাপনী বক্তব্যে অংশগ্রহণ করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও।
বলা যায়, প্রথম সফরের চুম্বক অংশটি ইতোমধ্যেই সেরে ফেলেছেন ট্রাম্প। তার সফরের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া। জেরুজালেমে বক্তব্য দেওয়ার আগে তিনি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু ও আশাপ্রদ হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেরুজালেমে সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের জনগণ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সব মানুষ, যারা শান্তি খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করার জন্য এই প্রাচীণ শহরে এসে আমি সম্মানিত বোধ করছি। জেরুজালেমের মতো এমন পবিত্র, জাঁকজমক এবং ঐতিহ্যের শহরকে পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।’
তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র ভূমির সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্ক প্রাচীণকাল থেকেই এবং এ সম্পর্ক চিরকালের। সেই কিং ডেভিডের আমল থেকেই, যার তারকা চিহ্ন এখনো গর্বিতভাবে উড়ে ইসরায়েলে।’ বক্তব্যের এই অংশে এসে উপস্থিত সব শ্রোতাই দাঁড়িয়ে করতালিতে মুখর করে তোলে হলরুম। পরবর্তীতে তিনি ইরানকে কখনোই পরমানু সক্ষম রাষ্ট্র হতে দেওয়া হবেনা বলে বক্তব্য দিলে করতালির মাধ্যমে আবারও তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানায় শ্রোতারা।’
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়ণের ব্যপারে ট্রাম্প আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়ণ করতে অনেক জটিল পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে ট্রাম্প ইরানকে সবার প্রতিপক্ষ বানিয়ে কাজটিকে সহজ করার পায়তারা করছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেরুজালেমের মাটিতে ইহুদিরা সবসময় জ্ঞানী মানুষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। যদিও একই স্থানে বসবাস করেছে মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও।
অশান্ত পরিস্থিতিতে শিশুদের দূরাবস্থা নিয়ে ইসরায়েল সফরের শুরু থেকেই বলে আসছেন ট্রাম্প। সমাপনী বক্তব্যেও তিনি এ প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘হামাস এবং হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বসতিগুলোতে রকেট হামলা চালালে স্কুল পড়–য়া শিশুদের এখনো দৌড়ে গিয়ে বম্ব শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেয়। ইসরায়েলের আশপাশের অঞ্চলগুলোতে হামলা চালায় আইএসও। তারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চায়। আর এই ধ্বংসযজ্ঞের নেতৃত্বে রয়েছে ইরান।’ এসময় নিজের পুরো নামটি উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, তিনি থাকতে ইরান কখনো পরমানু সক্ষম রাষ্ট্র হতে পারবেনা। তবে, বক্তব্যের শেষের দিকে তিনি এও স্বীকার করেন যে, শান্তি স্থাপন আসলে এত সহজ কাজ নয়। সংকল্প, আপোষ এবং আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তা কেবল সম্ভব। জেরুজালেম পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান
Check Also
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিক পত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য …