ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির ভিশনে আওয়ামী লীগ ভীত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন
।
এরশাদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। বাকি আছে ১২ বছর। আমরা একটা কথাও বলিনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা বলছেন, আমাদের কথা নকল করে বেগম জিয়া ভিশন দিয়েছেন। কত কথা হচ্ছে! আওয়ামী লীগ যেন ভীত হয়ে গেছে। এদিকে তীব্র দাবদাহ, রাজনীতিতেও তাপদাহ। রাজনীতিতে বাকযুদ্ধ চলছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যদি সেই শক্তি থাকত, চুপ করে থাকত। দেখত, বেগম জিয়া কী করতে পারেন ২০৩০ সালে। ২০৩০ তো অনেক দূরে। এমন বাকযুদ্ধে আওয়ামী লীগের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করবো। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটা সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন করতে চাই এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই।
এরশাদ বলেন, আমাদের সামনে ভিশন একটা আছে। খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০, আমাদের ভিশন দুটি। প্রাদেশিক সরকার আর নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন। একটা নির্বাচন আজ পর্যন্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা এমন নির্বাচন প্রথা আনতে চাই, যে নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। আর প্রাদেশিক সরকার করতে চাই। প্রাদেশিক সরকারে রাজশাহী হবে একটা প্রদেশ। এর নাম হবে ‘বরেন্দ্র প্রদেশ’।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, আগামীতে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দলের মধ্যে কোন বিভক্তি রাখা যাবে না।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি, মজিবর রহমান সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, কাজী ফিরোজ রশিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন রিন্টু।
সম্মেলনে পার্টির চেয়ারম্যান জেলা জাপার নতুন সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরে জেলা জাপার সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে সম্মেলনে ঘোষণা দেন এরশাদ।
২০১৪ সাল থেকে আবুল হোসেন ও শামসুদ্দিন রিণ্টুর নেতৃত্বাধীন কমিটি জেলা জাপার দায়িত্ব পালন করছে। চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা জাতীয় পার্টি তিন বছর পর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।