ক্রাইমবার্তা রিপোট:আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ বিএনপি মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। আমরা এটা অন্তত আগামী নির্বাচনে দেখতে চাই না।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ বলেন, বর্তমান ইসি নিরপেক্ষ নয়। তারা আমাদের কাছে অগ্রহণীয়। রোডম্যাপ দিয়ে কী হবে? সমান সুযোগ না দিলে এই রোডম্যাপ হবে একদলীয়। পক্ষপাতী রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেন সিইসি। এজন্য তাকে আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। দলীয় দৃষ্টিতেই ইসি গঠন হয়েছে। তাই এ ইসি দ্বারা কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন কোনো সরকার থাকবে তার ওপরই নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন। তবে আমরা নির্বাচনে যাবো। আমাদের জনসমর্থন রয়েছে। আগামীতে আর কোনো একদলীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
আগামী নির্বাচনে ইভিএম আমরা মানি না। কারণ ইভিএমে আমাদের দেশের জনগণ সম্পৃক্ত নয়। তারা অভ্যস্ত নয়। বিশ্বের কোথাও ইভিএমে ভোট হয়নি। সম্প্রতি ফ্রান্সেও ম্যানুয়ালি ভোট হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ইভিএম সংস্কৃতি অচল। আমরা এটা অন্তত আগামী নির্বাচনে দেখতে চাই না।
মওদুদ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। যারা ক্ষমতায় আছে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে বিনাভোটের সরকার। তারা ১৫৪ টি আসনে নির্বাচন দেয়নি।
তিনি বলেন, সংবিধানে জনগণকে ক্ষমতার উৎস বলা হচ্ছে, পক্ষান্তরে জনগণের ক্ষমতা নিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখনো অনেক বিষয় সংবিধানে জটিলতা রয়েছে। ১৫ তম সংশোধন আত্মঘাতী। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব পরিবর্তন করবে।
সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়ন আর গণতন্ত্র আলাদা, উন্নয়ন আর সুশাসন এক নয়। তা না হলে তো আইয়ুব খানকে মেনে নিতাম। কিন্তু মানিনি বলেই তো আন্দোলন করে জোর করে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি। ফ্লাইওভার ইজ নট স্টেট ভ্যালু।
সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সব কিছুকে প্রভাবিত করেছে সরকার। ইসি, দুদক সংসদ সবিকছু। সংসদে বিরোধী দল নেই। আমার মনে হয় সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকারকে গিনেজ বুকে স্থান দেয়া উচিত।
মওদুদ আহমদ বলেন, দাবি গণআন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে আন্দোলনই একমাত্র পথ। সকল রাজনীতিক দল, পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে অংশ নেবো।
জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ড. এসএম হাসান তালুকদার, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড. এমতাজ হোসেন, ড. লুৎফর রহমান প্রমুখ।