শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়ার জেলা সদর হাসপাতালে। বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধ শঙ্কর শাহ বলেন, ‘আমার স্ত্রীর মৃত্যুর পর যখন তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হল, আমি হাসপাতালের কর্মীদের অনুরোধ করি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে।
কিন্তু ওরা আমায় বলল, ওরা কোনো সাহায্য করতে পারবে না, যা করার নিজেকেই করে নিতে।’ শঙ্কর আরও জানান, এর পর অ্যাম্বুলেন্সের চালককে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে চালক ২৫০০ রুপি (৩১২৮ টাকা) ভাড়া দাবি করে। অনেক অনুরোধেও কাজ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না দেখে ছেলে পাপ্পুর মোটরসাইকেলে বসিয়েই স্ত্রীর মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসতে বাধ্য হন শঙ্কর।
তবে গোটা ঘটনাকে মিথ্যে বলে দাবি করে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার সময় হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিলই না।
আর যে অ্যাম্বুলেন্সটির কথা বলা হচ্ছে সেটি অকেজো। রোববার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারে এমন অমানবিক ঘটনা নতুন নয়।
দিন দু’য়েক আগেই মুজাফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য একটি মরদেহ ময়লার গাড়িতে করে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।