ক্রাইমবার্তা ন্যাশনাল ডেস্ক: নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও নতুন সরকার গঠন করছেন তেরেসা মে। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকছেন তিনিই। কিছুক্ষণ আগে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তার সঙ্গে থাকছে স্বল্প পরিচিত ডিইউপি। তাদেরকে নিয়ে গঠিত হচ্ছে নতুন সরকার।
ডেমোক্র্যাট ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের ঘোষণা দিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। এই সরকার যুক্তরাজ্যকে ‘সংশয়মুক্ত’ ভবিষ্যৎ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সরকারি বাসভবন বাকিংহাম প্যালেসে তার সাথে দেখা করার পর এ কথা বলেন টেরিজা মে।
বাকিংহাম প্যালেসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাকে এ সরকার গঠনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হারায় প্রধানমন্ত্রীর মে’র কনজারভেটিভ দল।
বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন তার পদত্যাগের আহ্বান জানান। এমনকি নিজ দলের অনেক এমপি তেরেসা মে’কে পদত্যাগ করতে বলেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পদত্যাগে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। বরং জোট গড়ে ফের সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এরইমধ্যে সরকার গঠন করার অনুমতি চাইতে যুক্তরাজ্যের রানি এলিজাবেথের বাসভবন বাকিংহ্যাম প্যালেসে রওনা করেছেন তিনি।
তেরেসার দল ডেমক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রানির অনুমতি চাওয়ার এ উদ্যোগ নেন তিনি।
যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে হলে ৩২৬ আসন প্রয়োজন হয়।
কিন্তু এ পর্যন্ত প্রকাশিত ৬৪৯টি আসনের মধ্যে তেরেসা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি ৩১৮ আসন এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টি ২৬১ আসন পেয়েছে।
এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১২টি, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ৩৫টি আসন পেয়েছে। কম প্রয়োজনীয় অন্য দলগুলো বাকি ১৩ আসন পেয়েছে।
সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে ১০ আসনে বিজয়ী ডিইউপি সমর্থন দেবে বলে আশাবাদী তেরেসা মে’র দল।
এ আশাতেই প্রধানমন্ত্রী তেরেসা রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে উদ্যোগী হন। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রানির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তেরেসা।