ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :কাতার সংকট নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন। দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই সন্ত্রাসবাদের সাহায্যদাতা হিসেবে কাজ করছে কাতার। কিন্তু কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
কাতার সংকটে উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। বিষয়টি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে স্পষ্ট বিভেদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরই সন্ত্রাসে মদদের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ ৭ দেশ। স্থল, জল ও আকাশ সীমান্ত বন্ধসহ নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ।
এবার কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগ করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বললেন, রিয়াদে আরব দেশগুলোর সম্মেলনেই আসে এ সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ঐতিহাসিকভাবেই সন্ত্রাসের সাহায্যদাতা হিসেবে কাজ করছে কাতার। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কাতারের এ আচরণের বিরুদ্ধে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসে, কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার। সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য দেয়া আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমি”।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কমাতে আরব দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করে সম্পর্ক জোরদার করতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আর যেন উত্তেজনা না ছড়ায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সব আঞ্চলিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে”।
কাতারের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জার্মানি সফরে থাকা দেশটির পরররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুলরাহমান আল থানি।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মাহাম্মেদ বিন আব্দুলরাহমান আল থানি বলেন, “কাতারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতার লঙ্ঘন। এতে পুরো অঞ্চলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোর সমাজের ওপর। কোনো শত্রু দেশের ওপরও এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমরা ভাবতে পারি না”।
বিবদমান দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল।