দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও সেই বিভীষিকাময় দিন ফিরে আসবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে তাঁতী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে সেই ২০০১ সালের কথা। তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি পুড়িয়েছে, পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছে, গবাদি পশু নিয়ে গেছে। আর এখন বিএনপি নেত্রী বলেছেন, ক্ষমতায় এলে এক কাপড়ে বের করে দেবে। বুঝতে পেরেছেন বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এলে তারা কত ভয়ঙ্কর হবে?’
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের বাড়ি হারানোর বিষয়টি নিজের আইনি যুক্তির ব্যর্থতাকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মওদুদ সম্পর্কে বিএনপি যা বলছে, এসব কথায় মানুষ হাসে। আপনার বাড়ি সরকার নিয়ে যায়নি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আপনি নিজেই দুটি মামলার ফাইট করেছেন। তাহলে আপনার দুর্বল যুক্তির জন্য চলে গেছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার নয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আপনাদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আমাদের অনেককে আদালতের রায় ছাড়াই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন।’
আদালতের বিরুদ্ধে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে এ কথা আপনারাই বলেন, আবার যখন নিজেরা হারেন তখন বলেন, আদালত সরকারের কথায় রায় দিচ্ছে। আদালতের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার বন্ধ করুন।’
যানজট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া আপনি বলেছেন, এই সরকারের আমলে যানজট বেড়েছে। আপনাদের সময় এই শহরকে অপরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন, আর এখন দুই মেয়র পরিকল্পিতভাবে এই নগরী গড়ে তুলছেন। আশা করি, ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে ঢাকা শহরে আর যানজট থাকবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানে ইফতার সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তার দলের নেতারা মিথ্যাচার করছেন। তবে বিএনপিতে ভালো লোক কিছু আছে। যারা প্রেস ব্রিফিং করে ফটোসেশন করে, তারা প্যাথলজিক্যাল লায়ার। এই দলের লোকজন এত মিথ্যা কথা বলে, যে তাদের নৈতিকতার ভিত্তি দুর্বল।’
বিএনপির আন্দোলনের ডাককে আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির কমিটিতে ৫৯৬ জন নেতা আছেন। ওনারা একসঙ্গে মাঠে নেমে মিছিল করতে পারেন না। নেতারা মাঠে না নামলে কর্মীরা কীভাবে মাঠে নামবে? বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন। বিএনপির নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে।’
তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্ত।