ফেসবুকে রোনালদো তার স্ট্যাটাসে লেখেন,’আমার বাচ্চাদের প্রথমবারের মত দেখতে যাচ্ছি – আমি দারুণ খুশি।’
গত কয়েকদিন ধরে পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরচ্ছিল যে আমেরিকায় একজন সারোগেট মা তার দুই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
কিন্তু চিলের কাছে পেনাল্টিতে তার জাতীয় দল হেরে যাবার পর তিনি খবরটি স্বীকার করে ঘোষণা দিলেন।
আগেই একটি ছেলে রয়েছে রোনালদোর- নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। জন্ম ২০১০ সালের জুন মাসে।
রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো তার মেসেজ শুরু করেছেন এই বলে যে সন্তান জন্মের খবর পাওয়ার পরেও তিনি মনযোগ দিয়েই জাতীয় দলের জন্য খেলেছেন।
রোনালদো বলেন, দুঃখজনক যে আমরা খেলায় আমাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি।
পর্তুগালের বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে ৮ই জুন তার যমজ সন্তান জন্মেছে- কনফেডারেশন কাপ শুরু হওয়ার অনেক আগেই।
দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে বলা হয়েছে যমজ সন্তানদের একটি ছেলে ও অন্যটি মেয়ে- তাদের নাম এভা আর মাতেও।
অন্যান্য খবরে আরও বলা হয়েছে রোনাল্ডোর মা ডলোরিস অ্যাভেইরো শিশু দুটি জন্মানোর পরই আমেরিকা চলে গেছেন।
পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে কনফেডারেশন কাপের আগে রোনালদো তাদের জানিয়েছিলেন তিনি আবার বাবা হয়েছেন। কিন্তু তিনি রাশিয়ায় টিমের সঙ্গে খেলতে যেতে চান। ফেডারেশন বলেছে তার এই সিদ্ধান্তকে তারা মনে করে ‘খুবই প্রশংসাযোগ্য এবং উল্লেখ করার মতো।’
তেসরা জুন ইউএফা চ্যাম্পিয়ানস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিজয়ের পর প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগাজ ও ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়রের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
রোনালদো রোববার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলছেন না এবং আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন বলছে, ‘তাকে দল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি যাতে তিনি নবজাতকদের কাছে যেতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি আমেরিকার পথে পাড়ি জমিয়েছেন।
পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমে এখন জোর গুজব রোনালদোর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মডেল জর্জিনা রডরিগাজও সন্তানসম্ভবা।
রোনালদো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রেমিকার পেটের ওপর হাত রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ এই ছবিটি পোস্ট করার পর থেকে এই গুজব ছড়িয়েছে।