চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন সেবা

নম্বর ঠিক রেখে মোবাইল ফোন অপারেটর পরিবর্তন তথা এক সিমেই সব অপারেটরের সুবিধা বা এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি) সেবা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, এমএনপির ফাইলটি দীর্ঘদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে এটি অনুমোদন পেলো।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা অনুমোদনের জন্য পুনরায় সংশোধিত গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠাই। তার অনুমোদনের পর আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এটি। এমএনপি সেবার জন্য সব অনুমোদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি আছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক পর্যায়ে এই সেবা দেওয়ার জন্য কারিগরি (টেকনিক্যাল) বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে জনগণকে তারা এই সেবা দিতে পারবে বলে আশা রাখি।’
গত বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী এমএনপি সেবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও পরবর্তী সময়ে গাইডলাইন আবারও সংশোধন করা হয়।
ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য, দুর্বল নেটওয়ার্ক কাভারেজ, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ভয়েস কলের নিম্নমান, গ্রাহক সেবার অসন্তুষ্টি মেটাতে এমএনপি সেবা চালুর উদ্যোগ নিযেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর লাইসেন্স পেতে ইচ্ছুক আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে এই কমিশন। সোমবার তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়।
কমিশনের পরিচালক (লাইসেন্সিং) এম এ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা, শেয়ার হোল্ডার প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারণক্ষমতাসহ বিস্তারিত বিষয় ও নিয়মকানুন উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ২৩ আগস্ট। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের ওয়েবসাইটে এমএনপি সেবার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৩ জুন বিটিআরসির দেওয়া এক নির্দেশনায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে পরবর্তী সাত মাসের মধ্যে এমএনপি চালু করতে বলা হয়। নির্দেশনায় এমএনপি চালুর জন্য তিন মাসের মধ্যে সব অপারেটরকে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতে বলা হয়। কনসোর্টিয়াম পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে এমএনপি সিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করে।

বেঁধে দেওয়া সময় ২০১৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে শেষ হলেও চালু হয়নি এমএনপি। পরবর্তী সময়ে এমএনপি চালুর জন্য একই বছরের মে মাসে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয় বিটিআরসি। ওই কমিটিকে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

কমিটি কাজের জন্য কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে আগস্ট মাসে প্রতিবেদন দেয়। সেটি ছিল অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে এমএনপি চালু করতে পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

Check Also

প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর : আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।