বেনাপোল সংবাদদাতা।
বেতন ভাতা ও পেনশন সুবিধা সরকারী তহবিল থেকে না পাওয়ার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কর্ম বিরতি পালন করেছে বেনাপোল পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
যশোর জেলা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুম রনি জানান, নগরায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭২ সালে পৌরসভ কে সংবিধানের ৫৯(১) অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক একাংশ রুপে নির্বাহী বিভাগের একটি অংশের এবং ৫৯(২ক) অনুচ্ছেদে পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরকারী কর্মচারীর মর্যাদা প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ২৪ ধারা অনুয়ায়ী ১৭ টি বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। যাদের বেতন ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে বহন করা হয়। অথচ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা একই ধরনের কাজ করলে বেতন ভাতার নিশ্চয়তা না করায় বৈষম্যের স্বিকার হচ্ছেন পৌরকর্মকর্তা কর্মচারীরা। সারা দেশে ১৫ হাজার নিয়মিত পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। তাদের মধ্যে বেনাপোল পৌরসভায় নিয়মিত অনিয়মিত ১৫৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। এ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত ৮ মাস ধরে সরকার নির্ধারিত নতুন পে স্কেলে বেতন ভাতা থেকে বজ্ঞিত রয়েছে।
২০০৬ সালে বেনাপোলকে সি ক্যাটাগিরির পৌরসভা ঘোষনা করা হয়। ২০১৫ সালে বেনাপোল পৌরসভাকে এ ক্যাগরির ঘোষনা করেন স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়। বেনাপোল পৌরসভায় বার্ষিক রাজস্ব আদায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবত খরচ হয় ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। পৌর রাজস্ব অপেক্ষা কর্মচারীদের বেতন ভাতা কম হলেও নতুন পে-স্কেলে গত ৮ মাস যাবত এবং পুরাতন পে-স্কেলে ৩ মাস যাবত কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। তাদের বেতন ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্তি সহ সকল বকেয়া বেতনের দাবীতে বেনাপোল পৌরসবা কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের আন্দোলন চালয়ে যাচ্ছেন।