পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জেলি পুশ অবস্থায় চিংড়ি পরিবহন করার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকালে বিপুল সেন নামক এক চিংড়ি ব্যবসায়ী প্রায় ৭ মন অস্বাস্থ্যকর ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস মাছের গাড়িটি আটক করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সোলাদানার বিমল সেনের পুত্র বিপুল সেনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা
পাইকগাছায় ধর্ষণ মামলার আসামী প্রকাশ্যে : পুলিশ দেখেও না দেখার ভান
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা ধর্ষণ মামলার আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর কারণে বাদী ও স্বাক্ষীরা রয়েছে চরম আতংকে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামীরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বাদী প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামের গাউসুলের স্ত্রী একই গ্রামের তার ভাসুর জামসেদ গাজীর পুত্র বাচ্চু ও বাচ্চুর বন্ধু মঠবাটী গ্রামের তারাই সরদারের পুত্র প্রভাবশালী ঘের মালিক মোবারেক সরদার গত ২৯/০৫/২০১৭ তারিখে ভোর বেলায় তার ঘরে উঠে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধুর চেচামেচিতে তার মা মঞ্জুয়ারা বেগম এসে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে মামলার আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাউসুলের স্ত্রী খুলনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে গত ০৭/০৬/২০১৭ তারিখে বাচ্চু গাজী ও মোবারেক সরদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- মিস পিটিশন- ৩৩৪/১৭। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি, পাইকগাছা থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওসি, পাইকগাছা থানা ২২/০৬/২০১৭ তারিখে মামলা দায়ের করেন, যার নং- ৩৪। জি,আর নং- ২৫০/১৭। উক্ত মামলা হওয়ার পর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীদ্বয়, গোলাম রব্বানী, জনৈক মুনসুর গাজীসহ ৫ জন যেয়ে বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি মামলা প্রত্যাহারের জোর চেষ্টা করেন। আসামী মোবারেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। বাদী মামলা প্রত্যাহারের স্বীকার করলে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ জীবন নাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আসামীদের প্রশাসন গ্রেপ্তার না করায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে কিছু বলছে না বলে কাঁদতে কাঁদতে এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, জরুরীভাবে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই আবু সাঈদ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এই মুহুর্তে তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাচ্ছে না।