ঘানায় নতুন একটি ধারা চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে মৃতদের বিদায় জানানো হয় নাচের মাধ্যমে। ফলে পুরো শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা স্ফূর্তির ছায়া।
টাকার বিনিময়ে একদল নৃত্যশিল্পী ভাড়া করেন পরিবারের সদস্যরা। ঘানায় এখন এরকম শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
এই রকম একটি নৃত্য দলের উদ্যোক্তা বেনজামিন আইডো বলছেন, আমাদের কাছে যখন গ্রাহকরা আসেন, আমরা প্রথমে জিজ্ঞেস করি, আপনি কি কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা চান, না কি অনানুষ্ঠানিক ধাঁচের অনুষ্ঠান চান? সেই অনুযায়ী আমাদের দলের সদস্যরা আচরণ করেন।
তিনি বলেন, কালো স্যুট, কালো টুপি, জুতা আর সাদা শার্ট পরে ছয়জন একেকটি কফিন বহন করেন আর নাচতে থাকেন। দলের মেয়েদের পরনে থাকে সাদা পোশাক। পেছনে ঢোল তবলা নিয়ে থাকেন তাদের সহযোগীরা। অনেক সময় শবযাত্রায় আগতরাও তাদের সঙ্গে অংশ নেন।
সদ্য মারা যাওয়া একজনের কন্যা এলিজাবেথ আনান বলেন, যখন আপনার ভালোবাসার একজন মানুষকে তার শেষ ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এই মানুষগুলো নাচ-গান করে। তাই আমি ঠিক করলাম, আমার মাকে তাহলে একটি ড্যান্সিং ট্রিপ বা নাচ-গানের মাধ্যমেই বিদায় জানানো যাক।
নতুন ধরণের এই উদ্যোগের মাধ্যমে অন্তত একহাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন বেনজামিন।
তিনি বলছেন, এর মাধ্যমে তিনি দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনতে চান। যদিও এজন্য দলের সদস্যদের পোশাক আশাকের পেছনে তাকে অনেক বিনিয়োগও করতে হয়েছে। প্রতিদিনই তারা এরকম অনেক অনুরোধ পাচ্ছেন।
ঘানায় শেষকৃত্যের মতো অনুষ্ঠান সামাজিকভাবে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। আর এখন নতুন ধরণের এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ঘানাবাসীর।