সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান বরগুনার বহুল আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
গাজী তারিক সালমন (অয়ন), সাতক্ষীরার সন্তান। তার গ্রামের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। বর্তমানে তার পিতা-মাতা সাতক্ষীরা শহরের মুন্সীপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা।
অয়নের পিতা মো: আব্দুর রহমান, মাতা: নাসিম বানু। আব্দুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পায়ে গুরুতর আঘাত পান।
অয়নের মাতামহ ডা. মুজিবর রহমান সাতক্ষীরা শহরের প্রথম দিকের একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। যখন সামান্য কয়েকজন লোক আ ‘লীগ করতেন তখন তিনি ছিলেন শহর আ ‘লীগের সভাপতি।তার বড় মামা সকলের পরিচিত মঞ্জু স্যার, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক।
তারিক সালমন ১৯৯৯ সালে এসএসসি এবং ২০০১ সালে এইচএসচি পাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের ৩১ তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার প্রথম, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা রচনা প্রতিযোগিতায় দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ছাত্র জীবনেই। ২৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে সর্বশেষ বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদে কর্মরত ছিলেন।
গাজী তারিক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। ওই আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একজন শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়।
ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে মানহানী করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৭ জুন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু।
গত ১৯ জুলাই ওই মামলায় জামিন চাইতে গেলে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন প্রথমে তাকে কারাগারে পাঠান। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আবার জামিন দেন।
নানা সমালোচনার মুখে রোববার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন বাদী সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু। এর আগে তাকে দল থেকেও বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় অাওয়ামী লীগ।