বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনি দোয়া চেয়েছে। সবার কাছে তার একটিই কথা, আমার জন্য দোয়া কইরেন। চিকিৎসকদের সে বলেছে, আমি বাঁচতে চাই।
শনিবার সকালে তার বায়োপসি করা হয়েছে। এর রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগামীকাল সোমবার।
তবে বায়োপসির পর ইতিমধ্যে মুক্তামনির আক্রান্ত স্থান দিয়ে বেশ কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এরপর শনিবার দুপুর ও বিকালে তাকে তৃতীয়বারের মতো অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। মুক্তামণিকে শনিবার সকাল থেকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউ- ৫ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। সে বলে, আমার জন্য দোয়া কইরেন, অনেক ব্যথা; আর পারছি না। শইল শিন শিন করতাছে।
এসময় তার পাশে মুক্তামনির মাসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় বার্ন ইউনিটের সম্বনয়ক চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন, পরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম, ঢামেক হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা সকালে মুক্তামনিকে দেখতে সেখানে যান।
বোর্ড প্রধান প্রফেসর আবুল কালাম জানান, মুক্তামনিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সোমবার বায়োসপির রিপোর্ট পাওয়ার পর বর্তমান বোর্ডের পাশাপাশি আরেকটি বোর্ড গঠন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তার হাতটি রেখেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজন হলে হাতটি কাটাও হতে পারে।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ডাক্তার সামন্ত লাল সেন যুগান্তরকে জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সে এখনও আশংকামুক্ত না। তার অবস্থা খারাপ হলেও চিকিৎসক টিমের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, মুক্তামনি বার বার বলছে, তাকে যেন বাঁচানো হয়। তার বাঁচার অনেক আকুতি, সে বাঁচতে চায়।
এই চিকিৎসক বলেন, আমরাও দেশবাসীর কাছে মুক্তামনির জন্য দোয়া চাই।