রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- কৃষকরা কোমর বেঁেধ নেমেছেন আমন ধান লাগানোর কার্যক্রম নিয়ে, কেউ ধান লাগানোর জন্য করছেন জমি প্রস্তুত। কেউ আবার জমির প্র¯তুতি শেষে ধান লাগাচ্ছেন। ঠিক এমনি চিত্র দেখা যাচ্ছে রানীশংকৈল উপজেলার মাঠ জুড়ে। কৃষকরা সময়মত ধান লাগানোর কার্যক্রম চালালেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ আসেন না কৃষকদের সহযোগিতা করতে ঠিক এমনি অভিযোগ উপজেলার কৃষকদের।
সরজমিনে রবিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হয় আমাদের প্রতিবেদকের। এদের মধ্যে একজন জব্বার তিনি ১নং ধর্মগড় এলাকার চেকপোষ্ট চিকনি গ্রামের বাসিন্দা এবার নিজে জীবনের প্রথম ধান লাগাচ্ছেন তিনি কৃষি কাজ সমন্ধে তেমন বুঝেন না। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,গ্রামের অন্য কৃষকের পরামর্শ নিয়ে ধান লাগাচ্ছি। কৃষি অফিসের লোকজন পরামর্শ দেয় না প্রশ্নে বলেন,না দেয় না তিনিও এও বলেন,আমি তাদের খুজি কিন্তু পাই না আমাদের এলাকার মাঠে কখনো আসতেও দেখি নি এবং কি চোখেও দেখিনি। কৃষি অফিসের লোজনদের নিয়ে এমন অভিযোগ অনেকের।
এছাড়াও ৮নং নন্দুঁয়ার ইউনিয়নের দক্ষিন বনগাঁও গ্রামের কৃষক আজগর আলী ২বিঘা জমি ধান লাগাচ্ছেন তার ছেলে আল-আমিন বলেন,কৃষি অফিসের লোক কখনো এখানে আসেনি। বর্তমান আবাদের যে অবস্থা তাতে আধুনিক পরার্মশ ছাড়া ভাল আবাদ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। আমরা যদি কৃষি অফিসের পরামর্শ পেতাম তাহলে মনে হয় আবাদ ভালই হতো বলে মন্তব্য করেন কৃষকের ছেলে আল-আমিন। ঐ গ্রামের হাফিজউদ্দীন(৬০) এবার ৪ বিঘা ধান লাগাচ্ছেন তিনি বলেন,আমিও আমার আবাদের জীবনে কৃষি অফিসের লোকজনকে আমাদের কৃষি জমির মাঠে দেখিনি এবং কি পরামর্শ পাই নি। নিজের পূর্বের অভিজ্ঞতায় ধান লাগাচ্ছি।
এছাড়াও সন্দারই গ্রামের মহিবুল তিনি এবার ৩বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছেন। কৃষক মহিবুলকে কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা প্রশ্নে বলেন,কে সহযোগিতা করবে কৃষি অফিস সে অফিসের সাদেকুল আমের বাগান নিয়ে ব্যস্ত সে গতবারের আমাদের এলাকা থেকে একটু দুরে আমের বাগান কিনে ছিলো মাঝে মধ্যে আসতো সে বাগান দেখার জন্য এছাড়া তাকে দেখা যায় না। সাদেকুল ইসলাম হচ্ছেন সন্দারই গ্রামসহ বনগাঁও ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সুত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ১লক্ষ ৩৫ হাজার ৪শত৪৭ হেক্টর ধান লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্য জেলার স্ব স্ব উপজেলার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ইউনিয়ন কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র থেকে পরামর্শ দিবে এছাড়াও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কৃষকের আবাদী জমি পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে যাবে এবং ব্লকের পাড়ায় পাড়ায় উঠান বেঠক করে কৃষকদের সহযোগিতা করবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুল ইসলামকে মুঠোফোনে কৃষকদের অভিযোগ সর্ম্পকে অবগত করে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন,কৃষকরা এমন অভিযোগ করেই, তিনি আরো বলেন,মাঠ পর্যায়ে কোন উঠান বৈঠক করার নিয়ম নেই,কৃষকদের পরার্মশ লাগলে ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র থেকে তথ্য নিতে হবে। তাহলে কী উপ-সহকারী কর্মকর্তারা কৃষকের মাঠ পর্যায়ে যাবে না প্রশ্নের জবাবে কৃষি কর্মকর্তা বলেন,ইউনিয়নের ব্লক অনুযায়ী ব্লক কর্মকর্তারা ইউনিয়ন কৃষি তথ্য অফিসে থাকবে সেখান থেকেই কৃষককে তথ্য নিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বার্তা প্রেরক
আনোয়ার হোসেন আকাশ
রানীশংকৈল(ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি