তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় এমপির বিশেষ বরাদ্দের নলকুপ স্থাপনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিস্ত্রি ইসরাইল হোসেন বাদি হয়ে প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা সহকারি প্রকৌশলীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে ১০০ ফিট গভীরে নলকুস্থাপন করা হলেও ১৫০ ফিট গভীরের বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এছাড়াও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা অভিযোগের তদন্ত না করায় সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ এমপির নজরে এনেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্থানীয় সাংসদ এমপির নির্বাচনী এলাকায় এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে ১৬টি হস্তচালিত গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। এসব নলকুপ স্থাপনে নলকুপ প্রতি ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল এন্টারপ্রাইজের কাছে থেকে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেকানিব তরিকুজ্জামান উচ্চমূল্য কার্যাদেশ কিনে সাব-ঠিকাদার হিসেবে নলকুপগুলো স্থাপন করেছেন। আর নলকুপ স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ নলকুপ স্থাপনের পরপরই অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫০ ফিট গভীরতায় নলকুপ স্থাপনের কথা বলা হলেও মাত্র ১০০ ফিট গভীরে নলকুপ স্থাপন করে বাকি ৫০ ফুটের উপকরণ আতœসাত করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত উন্নত মাণের পাইপের পরিবর্তে বাজার থেকে নিম্নমাণের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে এবং সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অভিযোগের সতত্যা পাওয়া যাবে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে। উপজেলার কলমা ইউপির কুমড়াপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দীন বলেন, নলকুপ স্থাপনের এক সপ্তাহ পরই তা অকেজো হয়ে পড়েছে, চৈারখৈর গ্রামের হারুন অর-রশিদ ভোতা, রশিদুল হাসান ও আব্দুর রশিদ একই অভিযোগ করে বলেন, তাদের নলকুপগুলোও স্থাপনের পরপরই অকেজো হয়ে পড়েছে। মুন্ডুমালা পৌর এলাকার প্রকাশনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, নলকুপ স্থাপনের এক মাসের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়েছে। চান্দুড়িয়া ইউপির দেওতলা গ্রামের সামমোহাম্মদ সামু ফকির বলেন, তার এখানে নলকুপ স্থাপনের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় তা অকেজো হয়ে পড়েছে। তাদের দাবি নলকুপ স্থাপনে অনিয়ম ও দূর্নীতি করায় নলকুপগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী বেলাল-এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেকানিক তরিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়, তিনি বলেন, যেকোনো কারণে নলকুপ অকেজো হতে পারে। এব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন এসব পুরাতন বিষয়ে লেখালেখি না করায় ভালো।
তানোর প্রতিনিধি
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …