ঢাকা : বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। তিনি মনে করেন, বিগত নির্বাচনকে ঘিরে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না রাজনৈতিক বাংলাদেশের দলগুলো।
আজ বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মায়াদুন। আমন্ত্রণ পেলে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো এবং নির্বাচন কমিশনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা দেবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মায়াদুন বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের সবাই খুবই সতর্ক। আগের নির্বাচনের সময় ও তারপরে যা ঘটেছে এবং এর যে মূল্য দিতে হয়েছে সেই পরিপেক্ষিতে সবাই বুঝতে পারছে যে এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি ও যথেষ্ট সময় রয়েছে। সব রাজনৈতিক শক্তি যেন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে তার উপায় খুঁজে পেতে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংলাপও ভূমিকা রাখবে।’
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক করেছেন তিনি। সেই আলোচনার সূত্রে তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের উপায় শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে বিদায়ী এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি সদিচ্ছা দেখেছি। আগামী নির্বাচন গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ। এ ব্যাপারে সবাই একমত। পদ্ধতিটা কী হবে তা আলোচনার সুযোগ উন্মুক্ত এবং সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে। ২০১৪ সালের তুলনায় এখনকার অর্থনীতিক সূচক ভালো নয়। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।’
২০১৪ সালে নির্বাচনে বাংলাদেশে আসেনি ইইউর পর্যবেক্ষক দল। তবে আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাতে সেইসাথে নির্বাচন কমিশনকেও সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলে জানান মায়াদুন। তিনি বলেন, ‘ইইউ পর্যবেক্ষক দল শুধু নির্বাচনের দিন নয়, তিন মাস আগে থেকে পরের কয়েক মাস পর্যন্ত কাজ করে। দেড়শ থেকে দুইশ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে আসতে প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। আমন্ত্রণ পেলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ও সমঝোতা সাক্ষরের দরকার পড়বে। আর নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার প্রস্তাব পেলে তা ইতিবাচক বিবেচনা করা হবে। যদিও এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাওয়া যায়নি।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়ছেন মায়াদুন। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসা এই রাষ্ট্রদূতের পরবর্তী গন্তব্য আফগানিস্তান।
Check Also
ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়
দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …