তিনি বলেন, দেশে যে উন্নয়ন আমরা করেছি, বিএনপি স্বপ্নেও তা ভাবতে পারবে না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী খাল, ক্লোজার, বামনী নদীসহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন শেখ হাসিনা সরকারে আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি শনিবার নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্ত্বরস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, চরফকিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা, চরপাবর্তী ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুন্না প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়ক, বসুরহাট-দাগনভূঁইঞা সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। এ উন্নয়নের ফলে এলাকায় অনেক বেকার সমস্যা সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ইঙ্গিত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি তার বাড়ির দরজার রাস্তা ও বাড়ির পাশের স্কুলের উন্নয়ন করতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ওইসব এলাকার উন্নয়ন ঠিকই করেছে। মওদুদ আহমদ মাঝে মাঝে এলাকা এসে ছুতাধরে নানা ধরনের টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি ভোট চাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি। বিএনপির ইস্যু খুঁজছে, বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে লাফালাফি করছে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য, এটাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কোম্পানীগঞ্জে আমাদের সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে বাড়িছাড়া করা হয়েছে। তাদের পুকুরের মাছ, গরু ও দোকান ভাংচুর ও লুট করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
তিনি দলীয় কর্মীদের জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এরপর মন্ত্রী কবিরহাট উপজেলার করিবহাট পৌরসভায় দুস্থ, অসহায়দের মাঝে নগদ টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।