নাটোর সংবাদদাতা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বন্যার কারনে চলনবিলে যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে পুর্নবাসন করবে সরকার। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই তালিকা প্রস্তুত করে তাদের ঘরবাড়ি নির্মাণসহ পুর্নবাসন করা হবে। বানভাসি কোন মানুষই এ থেকে বাদ পড়বে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুম চত্বরে বানভাসি ২৫টি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ এবং ঈদগাহ মাঠ সংস্কারের জন্য নগদ অর্থ বিতরনকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,চলনবিলের বানভাসি মানুষ যাতে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় এবং কুরবানী দেওয়া থেকে বিরত না থাকে সেজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাঁচ হাজার মানুষের জন্য গরু ও খাসি কুরবানী দিয়ে দুই বেলা আহারের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সকালে তাদের সকলকে লাচ্চা-সেমাই খাওয়ানো হবে। তিনি বলেন, সিংড়ায় এবারের স্মরনকালের বৃহৎ বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উজান ও ঢলের পানিতে রোপা আমন এবং আমনে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় এক’শ কোটি টাকার মাছ। বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে এসব ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সব ধরনের সরকারী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যায় উপজেলার ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে দুই মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল।এদের মধ্যে ৫৩ হাজার ২৫ জন কৃষক এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতি নিরুপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে সরকার। বন্যা পরবর্তী তাদের জন্য সরকার বরাদ্দ দিলে কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্রাই নদীতে সোঁতি জাল সন্ত্রাসীরা জাল ফেলে পানি প্রবাব বাধা সৃষ্টি করেছিল। তাদের সেই সোঁতি জাল অপসারন করা হয়েছে। তারা যাতে পুনরায় জাল ফেলতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। পাঁচ জন মানুষের কাছে চলনবিলের পাঁচ লাখ মানুষ জিম্মি থাকতে পারে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নবীর উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, জেলা পরিষদ সদস্য রায়হান কবির টিটু, তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, শেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুর রহমান ভোলা, চামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা প্রমুখ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী উপজেলার বানভাসি ২৫টি পরিবারকে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন ও নগদ ৪ হাজার করে টাকা এবং ঈদগাহ মাঠ সংস্কার বাবদ ৪ লাখ টাকা ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির কাছে প্রদান করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা ও পৌরসভার ৩১৭টি ঈদগাহের ইমামদের ঈদ শুভেচ্ছা হিসেবে পোশাক উপহার দেন।