রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এ দেশের মাটিতে রাখার কোনো শক্তি বা সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপ বাংলাদেশ সহ্য করতে পারবে না। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। আমরা কিছু সময়ের জন্য হয়তো রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে পারবো। কিন্তু পুরো সময় রাখার কোনো অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশের নেই।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা ও বিশ্ববাসীর কাছে দাবি জানান তিনি।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় আখাউড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মানুষ যেভাবে আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত না হলে প্রতিযোগিতার বিশ্বে আমরা পিছিয়ে যাব। শিক্ষার কারণে মানুষ আজ চাঁদে যেতে সক্ষম হয়েছে। অনুশীলন শিক্ষার কারণে ক্রিকেটে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তৃণমূল থেকে বৃহত্তর পর্যায় পর্যন্ত ঐক্য গড়ে তুলে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ধলেশ্বর রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আকছির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন Ñ আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম ভূঁইয়া, সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।