সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে অব্যহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারইনটেনডেণ্ড ও জালালাবাদ গ্রামের আব্দুল বারী খাঁনের ছেলে মোঃ আব্দুস ছাত্তার।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার পিতা মৃত আব্দুল বারী খাঁন ও চাচা মৃত গোলাম সরোয়ার এলাকায় প্রথম লাল-সবুজের স্বাধীনতার পতাকা তোলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে জালালাবাদ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার-ইন-টেনডেণ্ট। ওই মাদ্রাসার জন্মলগ্ন থেকে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসলেম আহম্মেদের স্ত্রী জেসমিন আরা জুনিয়র সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ছয় শতক জমি নিয়ে শেখ মোসলেম আহম্মেদ্দের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। যা’র সাবেক ও বর্তমান রেকর্ড আমাদের নামে। এ নিয়ে তার ভাইপো হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন- ১০২৭/০৯ মামলা করলে ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় বাদির পক্ষে যায়। একইভাবে শেখ মোসলেম আহম্মেদ একই আদালতে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পিটিশন ১২৯১/০৮ মামলা করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এ হারকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না শেখ মোসলেম আহম্মেদ। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, তিনি (ছাত্তার) একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও সচেতন মানুষ। তার ভাইপো আব্দুল আহাদ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অপর ভাইপো আব্দুস সামাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। ছয় শতক জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শেখ মোসলেম আহম্মেদ তাকে জামায়াতের লোক বানিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে এ পর্যন্ত কলারোয়া থানার জিআর- ২৭৫/১৫, জিআর-৮০/১৬ ও জিআর- ২৭৯/১৭ মামলায় গ্রেফতার করিয়ে জেল খাটিয়েছেন। এজাহারে আমার কোন নাম ছিল না। হুমকি দিয়ে সর্বশেষ গত ৭ আগষ্ট তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করান শেখ মোসলেম আহম্মেদ। ১৭ আগষ্ট তিনি জজ কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। খবর পেয়ে তার পা কেটে নেওয়া ও ঈদ করতে হবে জেলে মধ্যে মধ্যে আবারো হুমকি দেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এ ছাড়া তার ভাইপো হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। বিষয়টি প্রশাসন, ক্ষতাসীন দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এ মতাবস্থায় তিনি ও তাার ভাইপোসহ পরিবারের সদস্যরা প্রতি মুহুর্তে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন,একটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা সুপার হওয়ায় তাকে নাকি জামায়াতের লোক বলা হচ্ছে। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোসলেম আহম্মেদের স্ত্রী জেসমিন আরা জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করলেও তিনি জামায়াত হবেন না কেন ? তিনি ও তার স্বজনদের জামায়াত বানিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসলেম আহম্মেদ হয়রানি ও হুমকি দিয়ে চলেছেন। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ সুপার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস ছাত্তারের চাচাত ভাই সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অঅইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আলী হোসেন।
জানতে চাইলে শেখ মোসলেম আহম্মেদের ০১৭১২-২৪৫৮৩৪ নং মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।#
জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় করেছেন কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলোয়ারা
ফিরোজ হোসেন : ৪৬ তম উপ আঞ্চলিক স্কুল ও মাদরাসা গ্রীষ্মকালীন খেলা ধুলা ও সাাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৭ এর ফুটবল (বালিকা) খুলনা অঞ্চল খুলনা এর কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করেছে। নড়াইল জেলাকে ১-০ গোলে হারিয়ে খুলনা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করেন সাতক্ষীরা জেলার কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় । এবং সোমবার ৪৬ তম উপ আঞ্চলিক স্কুল ও মাদরাসা গ্রীষ¥কালীন খেলা ধুলা ও সাাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৭ এর খুলনা বিভাগের হয়ে বরিশাল বিভাগের সাথে খুলনা জেলা স্কুল মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রবিবার সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামের সাথে মতবিনিময় করেন জ্যাতি ক্রিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু তাহের, সহকারি প্রধান শিক্ষক এস এম এনামুল হক, জ্যোতি ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক মো: আকবর আলী আরও উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন,তামান্না সুলতানা,শুরভি খাতুন ,ফাতিমা পারভিন,আছিয়া খাতুন,মুক্তা পারভিন,আখি মনি,সোহানা খাতুন,সুমাইয়া পারভীন,আফরিন সুলতানা,ভ্যালোন্ডা পান্ডে,নাসরিন সুলতানা,মুন্নি খাতুন প্রমূখ।
জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বলেন বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা খেলাধুলায় অনেক পরিচিতি অর্জন করেছে। এ জেলায় মুস্তাফিজ,সোম্য,সাবিনা, সালমা সহ আরও অনেক খেলোয়ার জাতীয় দলে খেলছে। আজ সাতক্ষীরা জেলাকে সবাই এক নামে চিনতে পারে তাদের জন্য। তোমাদের মাঝে রয়েছে এমন অনেক প্রতিভাবান খেলোয়ার। আমরা চাই আগামীতে তোমরা জাতীয় দলে খেলবে। তোমরা শুধু সাতক্ষীরা জেলা নয় সারা দেশের নাম উজ¦ল করবে