মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জ হে বুধবার বলেছেন যে, ৪৭১টি রোহিঙ্গা গ্রামের মধ্যে ১৭৬টি এখন জনমানবশূন্য। অর্থাৎ ৪০ ভাগ রোহিঙ্গা গ্রাম এখন জনশূন্য। ৩৪টি গ্রামের অনেকে পালিয়ে গেছে।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গণদেশত্যাগ করে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংখ্যা চলতি বছর ভূ-মধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করা শরণার্থীদের সংখ্যার প্রায় তিন গুণ।
রোহিঙ্গা সংকটে ত্রাণ-সহায়তা গোষ্ঠীগুলোও বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ১২ জন শরণার্থী ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে।
রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলেছে, মিয়ানমার থেকে সব রোহিঙ্গাই বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। চলতি সংকটের সবচেয়ে খারাপ দিক হতে পারে এটাই।
এদিকে রাখাইনের সংঘাতময় মংডুতে ফের অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার মিয়ানমারের সেনারা পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়ায় রোহিঙ্গা বাড়িতে আগুন দেয় বলে কয়েকজন রোহিঙ্গা জানিয়েছেন।
এতে কোনো ঘরবাড়িই আর টিকে নেই। আগুন থেকে ভাগ্যগুণে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন মো. জোহর ও আবদুল মোতালিব।
তারাই এ তথ্য জানান। বুধবার সন্ধ্যায় ডোরাবিল গ্রামেও আগুন দেয়া হয়। নাফ নদীর তীর থেকেও আগুনের শিখা দেখা গেছে।