নাটোর প্রতিনিধি;নাটোরের লালপুর উপজেলার চন্ডিগাছা থেকে বাশবাড়িয়া পর্যন্ত খলিশাডাঙ্গা নদীতে অবৈধ ভাবে তৈরি ২ টি বাধ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রশাসন ও ক্ষতিগ্রস্থদের অংশগ্রহনে উচ্ছেদ করা হয়। কতিপয় ব্যক্তিস্বার্থ চরিতাঅের্থর জন্য চন্ডিগাছা থেকে ভূইয়াপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত ৪টি বাধ তৈরি করে চলমান পানির গতিপথ রোধ করে। যার ফলে দুড়দুড়িয়া ও আড়বাব ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার বিঘা ধানী জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ জনগন স্থানীয় বাধ প্রদানকারীদের নিষেধ করেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের নিকট অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যানগন ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তৎপ্রেক্ষিতে আব্দুলপুর ফাড়ি ইনচার্জ আকবর আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উক্ত এলাকায় যান বাধ উচ্ছেদের জন্য। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৫ শতাধিক জনগন উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহন করেন এবং চন্ডিগাছা থেকে বাশবাড়িয়া পর্যন্ত ২টি বাধ উচ্ছেদ করে। ভূইয়াপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত অবৈধ ভাবে দেওয়া বাকি ২টি বাধ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উচ্ছেদ করা হবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, নদীতে অবৈধভাবে বাধ দেওয়ার কারনে পানির স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে পানির নীচে আড়বাব ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭ শতাধিক মানুষের দেড় হাজার বিঘা ধানী জমি পানির নীচে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থরা প্রশাসনের সহযোগিতায় উক্ত বাধ উচ্ছেদে অংশগ্রহন করেন। উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে আব্দুলপুর ফাড়ি ইনচার্জ আকবর আলী বলেন, নদী বা খালবিলের পানির গতিরোধ একটি দন্ডনীয় অপরাধ। অবৈধ ভাবে বাধ দিয়ে পানির গতিরোধ করার ফলে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থরা সার্বিক সহযোগিতা এ অবৈধ বাধ উচ্ছেদ করা হয়।
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোর সংবদদাতা