র অভিযোগে কিশোর মো. সাগরকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামি আক্কাস আলীকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার ভোরে ভৈরবের শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব-১৪ এর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়।
র্যাব-১৪ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানানো হবে। তাদের কাছে এখন পর্যন্ত গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য আসেনি।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার চর শ্রীরামপুর গ্রামে চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ একটি বাড়িতে ফেলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পুলিশ ওই বাড়ির সামনের একটি কাশবন থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাগরের বাবার নাম মো. শিপন মিয়া। সাগর ময়মনসিংহ শহরের নাটকঘর লেন এলাকায় রেললাইনের বস্তিতে থাকত। সে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরিত্যক্ত জিনিস কুড়িয়ে এনে বিক্রি করত।
গত সোমবার ভোর চারটার দিকে সাগর একটি ভ্যান নিয়ে পরিত্যক্ত জিনিস কুড়ানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই রাতে সে বাড়ি না ফেরায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। পরে রাতেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় বিষয়টি জানান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সাগর দ্বিতীয়। বোন বড়। বাবা ফেরিওয়ালা। রেললাইনের বস্তিতে পাঁচজনের সংসার ছিল তাদের।
চর শ্রীরামপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত গাউছিয়া হ্যাচারিতে পানির মেশিন চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে মারধর করে ওই হ্যাচারির মালিক আক্কাস আলী ও তার লোকজন। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্মমভাবে মারধর করায় ওই কিশোরের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য ওই কিশোরকে ইজিবাইকে তোলা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সাহেক কাছারি বাজারে নেয়ার পর কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে আক্কাস আলী ও তার সহযোগীরা হ্যাচারির পেছনের একটি ঘরে লাশটি ফেলে পালিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই নির্যাতনের ছবি প্রকাশ পায়। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হ্যাচারির সামনের একটি কাশবনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে।