ঢাকা: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে এটা ঠিক নয়, তাকে আদালতে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে শুনেছি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা এখনো থানায় পৌছায়নি।
তিনি আরো বলেন, কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। যেহেতু খালেদা জিয়া একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তাই তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে তা নয়, এটি আদালতের বিষয়। তাকে আদালতে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে দুপুরে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশে নামলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পাঁচ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই বুধবার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষে পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। এতে দেশজুড়ে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
একদিকে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন খালেদা জিয়া দেশে নামলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু রবিবার দুপুরে বলেছেন, গায়ের জোরে ভন্ডামি করে মিথ্যা কথা বলে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কি ব্যবস্থা নিবে? ব্যবস্থার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকেন।’
জানা যায়, বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় দুই এবং ঢাকায় তিন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে শনিবার প্রথম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপর মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি ফের একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই এমিরেটস এয়ারলাইনসের নিয়মিত ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশে যুক্তরাজ্য ছাড়বেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতারা। বুধবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ফ্লাইটটি অবতরণের কথা রয়েছে।
ফলে এ নিয়ে উভয়পক্ষে পরস্পরকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে। এতে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আইজিপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এল।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করতে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডন যান। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে তিন মাসেরও বেশি সময় পর খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন।