সিলেট: সিলেট নগরের টিলাগড়ে ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে নিহত ওমর মিয়াদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মাথায় কাফনসদৃশ কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মিয়াদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ সময় একদফা লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। পরে নগরের কেন্দ্রস্থলের চৌহাট্টা পয়েন্টে মাথায় কাফনসদৃশ সাদা কাপড় বেঁধে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ঘটনার নেপথ্যে থাকা ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় টিলাগড়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে ওমর মিয়াদ নিহত হন। ছুরিকাহত হয়ে আহত হন আরেক কর্মী। ওমর মিয়াদ লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। টিলাগড়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদের পক্ষের কর্মী ছিলেন।
বিক্ষোভে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। রায়হানের মদদদাতা হিসেবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা গেছে নেতা-কর্মীদের। চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নিহত মিয়াদ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী ছিলেন। তাঁর হত্যাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী পক্ষের কর্মী। আর হিরণ মাহমুদ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকার অনুসারী। রায়হান নগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর টিলাগড় ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে নিহত হন জাকারিয়া মোহাম্মদ মাসুম নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী। এ ছাড়া টিলাগড় ছাত্রলীগের দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া থেকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস ভাঙচুর হয়। অভিযোগ রয়েছে, একসময়ের বন্ধু আজাদ-রণজিতের নেতৃত্বে ছিল টিলাগড় ছাত্রলীগ। দুজনের বিরোধে ছাত্রলীগের ওই পক্ষ দুটো পক্ষে বিভক্ত হয়ে একের পর এক সংঘাত-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।