তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক ও কথিত মাস্টাররোল কর্মচারি (লাইনম্যান) লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর বৃহ¯প্রতিবার এ ঘটনায় তালন্দ উপর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দীনের পুত্র শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, তানোরের কাঁমারগা ইউপির মালশিরা গ্রামের মুত সমসের আলী শাহ্’র পুত্র আব্দুস সামাদ দীর্ঘদিন ধরে চৌবাড়িয়া বাজারে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে লেদ মেশিনের (কারখানা) ব্যবসা করে আসছে। গত বছর আব্দুস সামাদ দোকান ঘর পরিবর্তন করে নতুন দোকান ঘরে ব্যবসা শুরু করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুতের তানোর-১ এলাকা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও কথিত কর্মচারি লিটনের মৌখিক অনুমতিতে আব্দুস সামাদ তার পুরানো মিটার দিয়ে নতুন ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। কিšত্ত পরবতির্তে বিষয়টি জানাজানি হলে দায় এড়াতে এলাকা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন কৌশলে ও মিটারে ক্রটি আছে জানিয়ে আব্দুস সামাদের কাছে থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ১৫ দিন পরে আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে আব্দুস সামাদ এবার ২০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে পূর্বের দেয়া ১০ হাজার টাকা আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ফেরত চাই। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম বাতকিতন্ডকার এক পর্যায়ে উত্তেজনার সুষ্টি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি নিরসন করেন। আর এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক প্রতিশোধ নিতে পলÍী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে গিয়ে আব্দুস সামাদের মিটারের নামে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নতুন মিটার বিনতে ও প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে এসব টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। কিšত্ত নতুন মিটারের দাম ২৩ হাজার টাকা ও জরিমানার প্রথম কিস্তি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও আব্দুর রাজ্জাকের মদদে আব্দুস সামাদের দোকানের (কারখানা) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে তানোরের তালন্দ উপর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত তহির উদ্দীনের পুত্র রিয়াজ উদ্দীন ও রিয়াজের ছেলে শরিফুল ইসলামের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির জন্য ১২ হাজার ও মিটার সেটিং বাবদ ৭ হাজার টাকা মোট ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও সংযোগ না দিয়ে প্রায় দু’বছর ধরে তালবাহানা করে আসছে। এদিকে গত বৃহ¯প্রতিবার আব্দুর রাজ্জাক ও লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পরে গত শুক্রবার আব্দুর রাজ্জাক এবং লিটন তানোর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিয়তুল্লাহকে নিয়ে বাদি শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার চেস্টা করেন। কিšত্ত বাদি শরিফুল এক সঙ্গে ১৯ হাজার টাকা ফেরত দাবি করে তাদের ফিরিয়ে দেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই লিটন তাঁর অনুগতরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি এমনকি হত্যার হুমকি দিচ্ছে শরিফুল ইসলামকে। এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এসএম মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তানোর জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এজিএম) হাফিজ উদ্দিনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এজিএম) হাফিজ উদ্দিন বলেন, তদন্তের নির্দেশনা পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর-১ এলাকা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান। এব্যাপারে লাইনম্যান জহুরুল ইসলাম ওরফে লিটন টাকা ফেরৎ দিতে যাওয়ার কথা শিকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার চেস্টা করা হচ্ছে দেখা যাক কি হয়। তিনি বলেন, তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক কাজেই তার এসব বিষয়ে লেখালেখি না করায় ভাল। #