রাজাপুরে শিক্ষার্থী ছাড়াই চলছে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

মো:অহিদ সাইফুল :ঝালকাঠির রাজাপুরে শিক্ষার্থী ছাড়াই চলছে কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। ২০১১সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থী বিহীন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইস এম কামরুজ্জামান এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ২৯ অক্টোবর রবিবার ১১.৪০ ঘটিকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের অফিস রুম ছাড়া প্রতিটি ক্লাস রুম তালবন্ধ।হাজিরা খাতায় প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নেই। বিদ্যালয়ের অফিস রুমে বসে শিক্ষকদের প্রতিদিনের ন্যায় ২৯অক্টোবর হাজিরা খাতায় উপস্থিতিতে দাগ দিতে দেখা যায়। বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ও কর্মচারী ১৮ জন এদের মধ্যে ১২ জন শিক্ষক ৬ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। তাদের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক ও ৩ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী সরকারি বেতনভুক্ত। তারা অফিসরুমে বসে গল্প করে মাসিক বেতন আদায় করে লুটে নিচ্ছে সরকারী অর্থ এমনই অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান ,কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে হাজীরা খাতায় অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে তার সাথে কোন মিল নাই। ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী নেই কিন্তু প্রধান শিক্ষক প্রায় ৮৭ জন ছাত্র ছাত্রীর তালিকা করে উপবৃত্তি সহ সরকারের প্রতিবন্ধী উপরে থাকা সকল প্রকার অনুদান লুটে খাচ্ছে।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইস এম কামরুজ্জামান’র বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ,অনিয়ম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৮ ই জুন ২০১৭ ইং তাং এ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের কাছে ও অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি।রবিবার ২৯অক্টোবর সকাল ১১.৪০ মি:স: বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম তালা বদ্ধ দেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা জনতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন একজন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পরলে ও বাড়ীতে চলে যায় সেই সাথে অন্য শিক্ষার্থীরাও চলেযায়। বিদ্যালয়ের উপস্থিতির কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন বিদ্যালয়ে তালিকাভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ১৯ জন তার মধ্যে প্রতিদিন উপস্থিত’র কোঠায় ৭-৮ জন। অটিষ্টিক প্রতিবন্ধী ৩০ জন তার মধ্যে প্রতিদিনের উপস্থিত’র কোঠায় ৮-৯ জন।দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ১৯ এর মধ্যে প্রতিদিনের উপস্থিত’র কোঠায় ৯-১০ জন এবং বাক প্রতিবন্ধী ১৯ জন এর মধ্যে উপস্থিত’র কোঠায় ৮-৯ জন মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৭ জন।
উপস্থিতি কম সে বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান,বিদ্যালয়ের লোকেশনের জন্য ছাত্র ছাত্রী দের উপস্থিতি কম এবং শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসার জন্য গাড়ীর ব্যাবস্থাও নেই আমাদের বিদ্যালয়ে।
অর্থ আতœসাৎ,অনিয়ম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তিতে অনিয়মের অভিযোগ অস্বিকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন এটা আমার বিরুদ্ধে চত্রুান্ত। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সভাপতি পরিবর্তন করতে চেয়েছি সে কারনেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ এনেছে একটি কুচত্রুী মহল।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।