পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রে সুড়ঙ্গ ধসে উত্তর কোরিয়ায় দুই শতাধিক লোক মারা গেছে। সাম্প্রতিক হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের জেরেই সুড়ঙ্গে ধস নামে বলে জানিয়েছে জাপানের এক সংবাদ সংস্থা। জাপানি মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিগ্রাফ, সানসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রায় দুই মাস আগে ঘটে যাওয়া দু্র্ঘটনার কথা জানা যায় মঙ্গলবার। জাপানের টিভি আসাহি প্রচারিত খবর অনুযায়ী, গত ৩ সেপ্টেম্বর মাটির নিচে ষষ্ঠ তথা এযাবত কালের তীব্রতম বিস্ফোরণ ঘটায় কিম জং-উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। ঘটনার পর পরই পাংগ্যে-রি অঞ্চলের পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি সুড়ঙ্গে ধস নামে। তাতে চাপা পড়েন ১০০ কর্মী। তাদের উদ্ধার করার সময় দ্বিতীয় বার ধসে পড়ে সুড়ঙ্গের ছাদ। ঘটনায় মারা যান মোট দু’ শ’র বেশি মানুষ।
চীন সীমান্ত ঘেঁষা ওই পার্বত্য অঞ্চলের ভূগর্ভে বিস্ফোরণ ঘটানো নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি ছিল, হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতায় কোনো ভাবে পাহাড় ধসে পড়লে বায়ুমণ্ডলে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের জেরে পরীক্ষা কেন্দ্র ও সংলগ্ন এলাকায় মাটি ধসে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার কোনো বক্তব্য জাপানি কিংবা পাশ্চাত্য মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়নি।
দেখা গেছে, পরমাণু বিস্ফোরণের জেরে দেখা দেয় জোড়া ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে যাদের কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩ ও ৪.১। এর জেরে বদলে গেছে একাধিক ছোট নদীখাত। উল্লেখ্য, ১২০ কিলো টন ওজনের হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতা ১৯৪৫ সালের হিরোশিমা পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের চেয়ে ৮ গুণ বেশি বলে দাবি করে উত্তর কোরিয়া।
২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন শাসক কিম জং-ইলের মৃত্যুর পরে ক্ষমতায় আসেন বর্তমান শাসক কিম জং-উন। তার আমলে পরমাণু ও ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি ঘটেছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক মোট ৬টি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কিম। তার মতে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে পরমাণু অস্ত্র মূল্যবান হাতিয়ার যা নিষ্ক্রিয় করা প্রশ্নাতীত। জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চাপের মুখেও নতি স্বীকার করতে নারাজ কিম জং-উন। হোয়াইট হাউসের সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকার পরে পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার গোছাতে আরো উদ্যোগী হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক।
সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের পাসপোর্ট বাতিল
থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সকল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
মাস দুয়েক আগে তার মামলার রায় ঘোষণার পূর্বে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এদিকে তার অনুপস্থিতিতেই আদালত গত মাসে তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
মঙ্গলবার থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রমুদউইনাল ব্যাংককে সাংবাদিকদের বলেন, ইংলাকের সকল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি ঠিক কোথায় আছেন আমরা জানি না। এটুকু জানি তিনি যুক্তরাজ্যে আছেন। তবে কোন শহরে তা জানি না।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ইংলাকের চারটি পাসপোর্ট রয়েছে। দুটি ব্যক্তিগত, দুটি কূটনৈতিক।
ইংলাকের নির্বাচিত সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর আগে ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার সরকারও ২০০৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়। তিনি বর্তমানে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।
ইংলাকের অবস্থান নিয়ে থাইল্যান্ডের ডেপুটি পুলিশ প্রধান শ্রীভারা রানসিভ্রমনোকুল বলেন, কর্তৃপক্ষ তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন দেশই বলছে না যে তারা তাকে দেখেছে।
প্রোস্টেট সার্জারি শেষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হাসপাতাল ত্যাগ
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তিমের প্রোস্টেট সার্জারী শেষে হাসপাতাল থেকে সোমবার ছাড়া পেয়েছেন। দেশটির সাও পাওলোর সিরিও লাইবেনিস হাসপাতালে তিনি তিন দিন ছিলেন। খবর সিনহুয়া’র।
তিনি শুক্রবার ইউরোনারির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে প্রোস্টেট সার্জারীর পর ছাড়া পান। তাকে চিকিৎসকগণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বুধবার রাজধানী রিও ডি জানেরিওতে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিমের দেশটির সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। তার বয়স ৭৭ বছর।