রাজাপুরে ক্রয়কৃত জমি ভূয়া দলিলের মাম্যমে জবর দখলের অভিযোগ
রাজাপুর প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের মৃতু আ: মজিদ হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও ফজলে আলি হাং স্থানিয় প্রতিপক্ষ জালিয়াত ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে গত কাল ৪ অক্টোবর রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সিরাজুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,স্থানিয় মৃতু কালিনাথ বসুর ছেলে রাধীকা বসু, মৃতু হিরালাল দত্তের স্ত্রী পারুল বালা, মৃতু নীল কান্ত দত্তের ছেলে রাম চন্দ্র ও মন মন্নাথের কাছ থেকে দীর্ঘদিন আগে উত্তর তারাবুনিয়া ৩ নং মৌজার এসএ ৮৫৭ ও ৮৭৩ নং খতিয়ানেরএসএ ৪৯৫,৫৭২,৫৭৩,৫৫৬,৯০৭,৫১০,৫৪২ ও ৫১২ নং দাগ থেকে ১৯৪ শতাংশ জমি সিরাজুল ইসলাম, তার ভাই ফজলে আলি ও আকুব আলি হাওলাদারের ছেলে হাবিবুর রহমান তিন জনে মিলে দলিল মুলে ক্রয় করেন। প্রতিপক্ষরা জাল জালিয়াতি করে ওই জমি অস্তিত্বহীন মনোরঞ্জন বসুর ছেলে সুধীর রঞ্জন বসুর নামে জাল নিলাম দেখান। সুধীর রঞ্জনের কাছ থেকে পৃথিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে প্রদূত কুমার ক্রয় করছে বলে ভুয়া ও জাল দলিল তৈরী করে। সেখানেই ক্ষান্ত নয়, প্রতি পক্ষরা প্রদূত কুমার সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেছে বলে তার ভাই পার্থ সরকারকে সমস্ত জমির মালিক বানিয়ে তার কাছ থেকে ওই জমি মোবারেক আলী হাওলদারের ছেলে আশ্রাব আলি ও আ: রশিদের ছেলে সুমন ক্রয় করেছে এবং কিছু জমি পার্থ সরকারের নিজের নামে রয়েছে বলে ভুয়া কাগজ পত্রে দেখানো হয়। পরে আশ্রাব আলি হাওলাদার ও পার্থ সরকার দুইজনে মিলে স্থানিয় প্রতিপক্ষ মৃতু আ: কাদেরের ছেলে শাহজাহান,শাহআলম,জাহঙ্গির,শহীদ ও রফিকের কাছে বিক্রি করেছে বলে ০৯/০৬/২০১০ ইং সনে ভুয়া দলিল (নং ১১০৭) ও ১৯/১০/২০১৬ ইং সনে ভুয়া দলিল (নং ২৩৯৫) তৈরী করেছে । অনুসন্ধানে ওই দলিলের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রতিপক্ষরা পেশি শক্তির বলে ওই জমির কিছু অংশ দখলে নিয়ে ভোগদখল করে আসছে। ওই জমি নিয়ে আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে। সিরাজুল ইসলাম ও ফজলে আলি হাওলাদার আরো বলেন, অপরদিকে আমাদের ক্রয়কৃত একই মৌজার এসএ ৬৭২ ও ৬৭৩ নং খতিয়ানের ৫১১ নং দাগের ৮৯ শতাংশ জমি পার্থ সরকারকে ভুয়া মালিক দেখাইয়া তার কাছ থেকে আমাদের অপর এক প্রতিপক্ষ স্থানিয় এসাহাক আলীর ছেলে মজিবুর রহমান ও রুস্তুম আলী ক্রয় করেছে বলে জোর পুর্বক ওই জমির কিছু অংশ দখলে নিয়া ভোগ দখল করে আসছে। এ জমি নিয়েও আদালতে মামলা চলছে বলে সিরাজুল ইসলাম ও ফজলে আলি হাং আরো উল্লেখ করেন। সিরাজুল ইসলাম ও ফজলে আলি হাং আরো বলেন, প্রতি পক্ষের লোকজন তাদেরকে হত্যা করার জন্য একাধিকবার পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়। যে কোন সময় সিরাজুল ইসলাম ও ফজলে আলি হাওলাদারকে প্রতিপক্ষের লোকজন মেরে ফেলতে পারে বলে তারা আতংকে রয়েছেন। তাই সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে আদালতের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সিরাজুল ইসলাম, ফজলে আলি হাওলাদার ও তাদের পরিবারের লোকজন।
রাজাপুরে প্রবাসী পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারার অভিযোগ
রাজাপুর প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরের লেবুবুনিয়া গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে একটি পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল দুপুরে উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে ভুক্তভোগী ওমান প্রবাসী বাদল হাওলাদার তার নিজ বসতঘরে বসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ওমান প্রবাসী বাদল হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার লেবুবুনিয়া মৌজার এস.এ ২২৭ নং খতিয়ানের মোট ৫.১৪ শতাংশ সম্পত্তিতে হিং ১৬ (ষোল) আনা অংশে ২.৫৭ শতাংশ সম্পত্তিতে জগবন্ধু নামক ব্যক্তি রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন। এরপর তার মৃত্যুতে তৎত্যাজ্য বিত্তে তাহার ২ পুত্র গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দ ওয়ারিশ সত্ব প্রাপ্ত হয়। এরপর তারা ২জনেই (গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দ) একই এলাকার মোতাহার আলীর কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময় ৪টি দলিলের মাধ্যমে ঐ জমি বিক্রি করেদেন এবং সরেজমিনে তাকে বুঝিয়ে দেন। পরবর্তিতে মোতাহার হাওলাদার ঐ জমিতে ঘর নির্মান করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। বাদল হাওলাদার তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, মোতাহার হাওলাদারের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তারঘর সহ ৬১.৫০ শতাংশ জমি আমার কাছে এবং একই এলাকার তানজের আলীকে কবলা দেয় এবং সেখানে আমরা স্থায়ীভাবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখন আমার কিছু প্রতিপক্ষ একই এলাকার নুরুল ইসলাম আকনের ছেলে মনির, নাসির, নজরুল, জসিম, শহিদুল ও গিয়াসসহ বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে দিনে রাতে আমার বাড়িতে এসে ঘর ছারার হুমকি দিয়ে যায় এবং বলে এজমি আমরা ক্রয় করেছি এ জমি আমাদের। বাদল হাওলাদার আরও অভিযোগ করে বলেন, ঐ প্রতিপক্ষরা আমি প্রবাসে থাকায় আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময় খুন যখম করার হুমকি এবং আমার ভাই তানজের ও জমি বিক্রি করা মোতাহার আলীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম আকনের দ্বিতীয় ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, জগবন্ধুর দুই ছেলে রাধেশ্যাম ও গোপালের কাছ থেকে দলিল মূলে ৪২ শতাংশ ক্রয় করি যাহা আজও পর্যন্ত দখলে পাইনি।
আশ্রয় নেয়া ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে কোটি টাকার পোষাক বিতরণ
রাজাপুর প্রতিনিধি
মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে উন্নতমানের পোষাক বিতরণ করেছে গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আন্তর্জাতিক পোষাক তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ৩ ও ৪ নভেম্বর দুইদিন ব্যাপি উখিয়ার কুতুবপালং ২নং ক্যাম্পে ৩০হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে এ পোষাক বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল জেনারেল ম্যানেজার জিয়া সরকার, পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, এডমিন ম্যানেজার আবু তাহের লিংকন, প্রোডাকশন ও কোয়ালিটি ম্যানেজার মাসুদুল হক, প্রধান হিসাব কর্মকর্তা নাদের আব্বাস, সাইদ আহমেদ প্রমূখ। এছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রমে ক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর আতিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান সবুজ সহযোগিতা করেন। আন্তর্জাতিক পোষাক তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান মেরিডিয়ান গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৭টিরও বেশি দেশে তাদের পোষাক রপ্তানি করে আসছে। নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ওয়েস্টার্ণ পোষাকের ডিজাইনে তৈরি করা এ পোষাকের বাজারমূল্য কোটি টাকার উপরে।
মোঃ আঃ রহিম রেজা
রাজাপুর, ঝালকাঠি।
০১৭১৮৫৫১৬৮১