ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট::বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, কী করে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করানো হয়েছে আপনারা সবাই জানেন। এর ফলে সুপ্রিমকোর্টের মর্যাদা ও সম্মান বলে আর কিছুই নেই। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির এই পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে। মামলা দিয়ে,ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে। এর চেয়ে দুঃখজনক দেশের মানুষের জন্য আর কী হতে পারে? অর্থাৎ সুবিচার পাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের মর্যাদা ও সম্মান বলে আর কিছুই নেই- মওদুদ
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। এতে সংগঠনের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ,মিলন মেহেদী প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন,এখন কী হবে? এখন আর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর দরকার নেই। অর্থাৎ সংসদ দ্বারা বিচারপতিদের অপসারণ করার যে ব্যবস্থা ষোড়শ সংশোধনীতে করা হয়েছে,ওইটাও যদি থাকে সেটারও আর দরকার নেই। আর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যেটা ওই রায়ে বলা হয়েছিল,সেটা বলবৎ থাকবে- সেই কাউন্সিলেরও আর প্রয়োজন নেই। এখন একটা পথ তো সরকার দেখিয়ে দিয়েছে, কোনো রায় যদি পছন্দ না হয়, তাহলে সেই বিচারপতিকে কীভাবে অপসারণ করা যায়,কীভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা এনে ব্ল্যাকমেইল করে তার থেকে পদত্যাগপত্র নেয়া যায়।
‘আর অপসারণ করার জন্য তো আর আইনের প্রয়োজন নেই,সংবিধানের কোনো প্রয়োজন নেই। এটা এত বড় ব্ল্যান্ডার, এ পলিটিক্যাল মিসটেকের জন্য একদিন না একদিন নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীনরা অনুশোচনা করবেন। এরকম অবস্থায় বিচারপতিরা মুক্তমনে বিচার করতে পারবে কিনা- তা নিয়েও শংকা রয়েছে।’
এদিকে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ন্যাপের আরেক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি নাই। আর এই আন্দোলন-সংগ্রামের পথপ্রদর্শক হলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। এতে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা,ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি,এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।