ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:
ভোলা: নির্বাচন কমিশন সংবিধান মতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবেন বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার নবনির্মিত থানা ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
থানা উদ্বোধন শেষে লালমোহন চৌরাস্তা মধ্যবাজারে এক জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের বিশাল জনসভাই প্রমাণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনা সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে। বাংলাদেশ আজ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অকাল বন্যার কারণে কিছু সময় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল, সে সমস্যা শেষ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা আজ মাদার অব হিউমিনিটিতে পরিণত হয়েছেন।
তিনি বলেন, লালমোহন ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। গরুর খুঁটি দিয়ে এখানে মানুষের চোখ উপড়ে ফেলেছে বিএনপির নেতা-কর্মী। শেখ হাসিনার রাজত্বে সবাই সমান। বিএনপি বোমা দিয়ে মসজিদের মানুষ মেরেছে। সবাই বলছে, আইএস এসব করেছে। কিন্তু কোনো আইএস দেখলাম না।
ভোলা-৩ আসনের (লালমোহন-তজুমদ্দিন) সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন পঞ্চায়েত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে: ফরুক
ঢাকা : আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তার উপদেষ্টা বিরোধী দলীয় সাবেক হুইপ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন ফারুক। আর বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে অক্ষরে অক্ষরে ক্ষমতাসীন দলের লুটপাটের বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ ভোট দিতে পারবে। যদি মনে করেন ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করা আর সম্ভব না। জনগণ বিএনপির জনসমর্থন দেখেছে। তারা মনে করে দেশে যদি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় বেগম খালেদা জিয়া আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তখন অক্ষরে অক্ষরে ক্ষমতাসীন দলের লুটপাটের বিচার করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটা কথা জিজ্ঞাস করতে চাই গত সাড়ে আট বছর আপনি ক্ষমতায় বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করে দিয়েছেন দুদকের মত প্রতিষ্ঠানকে নিজের পক্ষে আনার জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছেন, শেয়ার বাজারের হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে এসব ঘটনা কি বিএনপি সরকারের আমলে হলো?
বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো: রাসেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি