শাহ আলম,কালিহাতী: টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত জেরে মা ও ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে।
জানাযায়, বিগত এক থেকে দেড় বছর আগে আব্দুস ছালাম কাউন্সিলর হওয়ার পূর্বে তার মেয়ের বাড়ির রাস্তা করে দেয়ার জন্য সাতুটিয়া গ্রামের হান্নান ও শহিদের কৃষি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করলে হান্নান ও শহিদ বাঁধা দেয়। কিন্তু সে বাঁধা তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক পূণরায় রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করলে হান্নান ও শহিদ কালিহাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং বাঁধা দেওয়াতে ছালামও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলে কালিহাতী থানা পুলিশ ঘটনাটি সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষ্যে তৎকালীন পৌর মেয়র আনছার আলীকে সাথে নিয়ে সমাঝোতার মাধ্যমে হান্নান ও শহিদের জমির মাঝখান থেকে দেড় ফিট করে তিন ফিটের পার্শ্বরাস্তা করার অনুমতি দেন বলে জানাযায়। এতেও সন্তুষ্ট হয়নি ছালাম। বর্তমানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এবং শহিদ প্রবাসে থাকার সুযোগ নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর ওই তিনফিট রাস্তা ছয়ফিট করনের উদ্দেশ্যে সম্পর্কের টানে হান্নানের জমি বাদ দিয়ে শহিদের জমির উপর দিয়ে এবং ওই জমি থেকেই মাটি কেটে জমি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করলে শহিদের স্ত্রী স্বরভানু ও ছেলে রফিকুল ইসলাম বাধা দিলে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে কাউন্সিলর ছালাম শহিদের স্ত্রী ও ছেলের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে নারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে শহিদের স্ত্রী স্বরভানু বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আব্দুস ছালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এস আই নাছির উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
শাহ আলম
কালিহাতী(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি