ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: ৫ জানুয়ারির মতো আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মুক্ত সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, আবারও একটি বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। নির্বাচন মানে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। রংপুরে ইসি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। কারণ, তারা সেখানে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। তবে জাতীয় নির্বাচনে ভিন্ন দৃষ্টি থাকবে। তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ইসি পার্টটাইম সংস্থা নয়। সার্বক্ষণিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করে তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব।
একই অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যে প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এখনো সে প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হয়নি। যেভাবে দলীয়করণ হয়েছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, চিন্তা করা যায় না। তিনি বলেন, চারটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সেগুলো হলো রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো, দলীয়করণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনো নির্বাচন ছিল না। সামনে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা দেখতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে।
সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন যাতে না হয়। প্রধানমন্ত্রীও মনে হয় ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন চান না।
————-0—————-
খালেদা জিয়ার রায়ের পরই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে: কর্নেল অলি
ঢাকা: ২০ দলীয় জোট নেতা ও এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় দেয়ার পরই সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে। এটা একটা দূরভিসন্ধিমূলক। এই রায়ের সঙ্গে নির্বাচনের একটা যোগসূত্র রয়েছে। হয়তো হঠাৎ করে দেখবেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় দিয়েছে আর এক সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা হতে পারে। কারণ খালেদা জিয়া ও ২০ দলীয় জোটকে বেকায়দায় ফেলে আওয়ামী লীগ হয়তো নির্বাচন দিতে চাইবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সরকার দখল, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থপাচারের রেকর্ড গড়েছে উল্লেখ করে এলডিপি সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মনে শান্তি নাই, স্বস্তি নাই, যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। শুধু পকেটে কিছু টাকা আর পেটে ভাত থাকলেই হয় না, প্রয়োজন মানসিক শান্তি এবং দেশে শান্তি। মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর আব্দুল্লাহ, আব্দুল গণি, ভাইস চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, তমিজ উদ্দিন টিটু, প্রচার সম্পাদক বেলাল মিয়াজী, তথ্য-গবেষণা সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ও গণতান্ত্রিক মহিলা দলের সভাপতি অধ্যাপিকা কারিমা রহমান প্রমুখ।
৩০ডিসেম্বর,২০১৭শনিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি