ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের গণ গ্রেফতার করে সরকার তড়িঘড়ি একটা নির্বাচন দিয়ে দিতে পারে ।শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেনআগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আজ পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তারা এসব মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন আমাদের নেতাকর্মীদের গণ গ্রেফতার করে সরকার তড়িঘড়ি একটা নির্বাচন দিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট হলে এ সমাবেশ হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, এদেশে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট কেন্দ্র দখল করে জালভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ নজির স্থাপন করেছে। হয়তো এবারও তারা আমাদের নেতা কর্মীদের গণ গ্রেফতার করে তড়িঘড়ি একটা নির্বাচন দিয়ে দিতে পারে। আওয়ামী লীগের এ ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
আন্দোলনের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করি। আমরা কোনও বিপ্লবী বা বিদ্রোহী দল না, কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ড কোনও দল না। ষড়যন্ত্র করে বিএনপি কখনোই ক্ষমতায় আসেনি।
বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করে বাকশাল কয়েম করেছিল। আর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের স্বাধীনতা ফেরত দিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। বেগম জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে সে স্বাধীনতা ফেরত দিয়েছে। এখানেই বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, এমএ নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
————–0—————-
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেনআগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে /, কাদের বলেছেন, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশী শক্তিশালী এবং জনপ্রিয়। নতুন ভোটার ও নারী ভোটার এবং তৃণমূলের দলীয় সাংগঠনিক শক্তির ওপর নির্ভর করে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয়ী হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিআরটিসির বাস ডিপো পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা বিএনপির মতো নই যে বাবা ছেলের নাম ঘোষণা করবে। আওয়ামী লীগে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন দান করার ক্ষেত্রেও মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কে মনোনয়ন পাবে। এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। তবে কেউ যদি ব্যবহার করে থাকে তা খতিয়ে দেখে যে ব্যবহার করেছে তাকে বারণ করা হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ভূঁইয়াসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ডিসেম্বর,২০১৭শনিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি