ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার এমন ভয়াবহ বিপর্যয় ও নারী সম্ভ্রম লুন্ঠনের ঘটনায় আমি নির্বাক।
সোমবার এক টুইট বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন এ কথা বলেন।
টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, মহিলা পরিষদ বলছে, ২০১৭-এ ১২৫১জন মা-বোন-শিশু ধর্ষিত হয়েছে, গ্যাংরেপ হয়েছে ২২৪জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৫৮জন! আইনশৃঙ্খলার এমন ভয়াবহ বিপর্যয় ও নারী সম্ভ্রম লুন্ঠনের ঘটনায় আমি নির্বাক। জনগণের রক্তের টাকায় অনির্বাচিত মাথাভারী সরকার বাস্তবে অনবরত তাদের অধিকারকে পদদলিত করছে।
‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েও কোনো লাভ হবে না সরকারের’
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিয়মিতই আদালতে হাজির হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মামলার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চলাতে খালেদা জিয়ার সাজার আশঙ্কা করছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আর সেজন্য আগে থেকেই আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন বলছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয় তাহলে নেত্রীর জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে। এমন কি তিনি জেলের ভেতর থেকেই দলকে পরিচালনা করতে পারবেন।
তিনি আরো যোগ করেন, কোন কারণে তিনি যদি দলের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। অতীতেও এ ধরণের সমস্যা মোকাবেলা করা হয়েছে।
বিএনপির আরেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বিএনপির নেতৃত্ব বেগম খালেদা জিয়াই দেবেন।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার মামলায় আইনি যে প্রক্রিয়া আছে তা চলবে। তবে রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপি একটি ফলপ্রসু আন্দোলন করবে।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করেন- দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যাবে। সাথে আগামী নির্বাচনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়বে বলেও মনে করেন তারা।
ফের খালেদা জিয়ার যুক্তিতর্ক ১০ জানুয়ারি
গত ৪ই জানুয়ারি সপ্তমদিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এই যুক্তিতর্ক শেষ হয়। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক শেষে আদালত নতুন করে দিন নির্ধারণ করেন আগামী ১০ ও ১১ তারিখ।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। বেলা ১১টা ৪২ মিনিট থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয় বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে। শুরুতেই খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী সপ্তম দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুরু করেন। গত বুধবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাদেও মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান আসামীর তালিকায় রয়েছেন।
এই মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে। এতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে খালেদার সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেন। ২০ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। এদিন শেষ না হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। ২১ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন ও শেষ না হওয়ায় ৩ ও ৪ জানুয়ারি পরবর্তি দিন ধার্য্য করেন।
০৮জানুয়ারী,২০১৮সোমবার:::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি