শীতে কাঁপছে দেশ: বিপর্যস্ত জনজীবন:কুড়িগ্রামে ১১ জনের মৃত্যু

সামছুল আরেফীন : তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদের ভিড় বেড়েছে উত্তরের জেলাগুলোর হাসপাতালে। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ৫০ বছর পর দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ দিকে কুড়িগ্রামে শীত জনিত বিভিন্ন রোগে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তীব্র শীতের রেকর্ড ৫০ বছর ধরে রেখেছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা। পাহাড়-টিলায় ঘেরা এই এলাকায় ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে এটিই ছিল বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এরপর প্রতিবছর তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও দেশের কোথাও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে নেই।
২০১৩ সালে অবশ্য ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। ওই বছর ১০ জানুয়ারি নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ সেলসিয়াস। এর আগের দিন ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অবশ্য বাংলাদেশে শূন্য ডিগ্রি বা এর কম তাপমাত্রা পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশে শীত পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর একটি হলো সাইবেরিয়ার বাতাস। তবে বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগেই এই বাতাসে শীতের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু এ সময় সাইবেরিয়ার বাতাসে যে মাত্রার ঠান্ডা থাকে সেটি এ দেশের মানুষের কাছে সহনীয় নয়।
গেলো ৪ জানুয়ারি থেকে দেশের ছয় বিভাগের ওপর দিয়ে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুরুতে এর মাত্রা মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছিল। তাপমাত্রা ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এলে আবহাওয়াবিদরা একে বলেন তীব্র শৈত্য প্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর শ্রীমঙ্গল ও সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, রংপুর খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
ঢাকায় ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকবে মন্তব্য করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, এশিয়ায় সাইবেরীয় উচ্চ চাপবলয়ের কারণে ১০ জানুয়ারির পর সারা দেশে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
টানা পাঁচ দিনের শৈত্য প্রবাহে দেশের উত্তরাঞ্চলের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে।
কাঁপন ধরানো শীতের মাত্রা তুলনামূলক বেশি উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতকাল দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ছিল তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই জেলার ডিমলায় ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩, দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুরের পর শীতের তীব্রতা বেশি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহী জেলায় ছিল ৫ দশমিক ৩, বগুড়া ও ঈশ্বরদীতে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের জেলায় শীতের তীব্রতা এতটাই বেশি যে রাতের বেলায় আকাশ থেকে ঝরছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। দিনের বেলায়ও কুয়াশার রেশ কাটেনি। এর সঙ্গে উত্তর দিক থেকে আসছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। তাই স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা এখন আগুনের কুণ্ডলী। শীতের ছোবল থেকে বাঁচতে দিনরাত সব সময়ই তাঁরা আগুনের কাছে দাঁড়িয়ে নিজেদের রক্ষা করছেন।
পঞ্চগড়: হাড়–কাঁপানো শীতে এখানকার জীবনযাত্রা এখন অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র, ছিন্নমূল, ভাসমান ও স্বল্প আয়ের মানুষ। জেলা শহরে সাধারণ মানুষ ও রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল কম করছে। তবে লেপ-তোশক ও শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। আলুর খেতে লেটব্রাইট রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।
শীতের কারণে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম থেকে মোস্তাফিজুর রহমান : টানা ৮ দিনের তীব্র শৈত প্রবাহে কুড়িগ্রাম জেলার জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। কনকনে ঠান্ডা ও উত্তরের হাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষজন। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গত কয়েক দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রার তারতম্য না থাকায় কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে সর্বত্রই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন। তবে গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে সুর্যের দেখা মেলায় একটু স্বস্তি ফিরে এসেছে শীত কাতর মানুষের মাঝে।
কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যান চালক মোকছেদ মিয়া জানান, এমন ঠান্ডা হাত পর্যন্ত বের করা যায় না। তারপরও গাড়ী নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু এই ঠান্ডায় কোন ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সোহরাব আলী জানান, নদীর পাড়ে বাড়ি। ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। কাজও চলে না। গরম কাপড়ও নাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় দুই শিশুসহ গত ১ তারিখ থেকে কিডনি, স্টক, হার্ডএ্যাটাক ও জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন রোগে শিশু ও বৃদ্ধসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, এসব রোগী শীত জনিত রোগে মারা যায়নি।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম জানান, ঠান্ডায় তার ছেলের পাতলা পায়খানা বমি হয়েছে। গ্রামের ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা নিয়েও ভালো না হওয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহিনুর রহমান সরদার জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সদর হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৩১ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশু ও বৃদ্ধসহ ২১ জন ভর্তি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সদর হাসপাতালে শীত জনিত রোগে কোন রোগী মারা যায়নি বলে জানান তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকলেও যথাসাধ্য চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, চলমান শৈত্য প্রবাহের ফলে এ অঞ্চলে যে শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে এতে করে মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। সরকারের কাছে থেকে আমরা ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র পেয়েছি যা অতীতের চেয়ে বেশি। শীত বস্ত্র যথাযথ ভাবে যাতে বিতরণ হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। জেলায় দুঃস্থ মানুষ যারা আছে তাদের তালিকে করে কম্বল পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমরা আরো কম্বল চেয়েছি।
নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীতে তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত পড়েছে। ঘন কুয়াশায় আছন্ন থাকছে পথ-ঘাট। তবে গত চার দিন পর সোমবার নীলফামারীতে সূর্যের দেখা মেলেছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিমলা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমার জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ছিল নীলফামারী জেলার সর্বনিম্ম তাপমাত্রা। এছাড়া সৈয়দপুর উপজেলায় ৩ দশমিক ৫ ও নীলফামারী সদর, ডোমার ও জলঢাকা উপজেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
নীলফামারী জেলা ত্রাণ কর্মকতা এটিএম আখতারুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৪১ হাজার ৯শত ৩৭ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শিশুর পোশাকসহ আরও ২০ হাজার কম্বলের চাহিদা দেয়া আছে বলে তিনি জানান।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কনকনে ঠান্ডা ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে গরিব ও অভাবী মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। ফলে লোকজন খড়-কুটা, কাগজ ইত্যাদি জ্বালিয়ে আগুন টনিক নিয়ে শরীর ও হাত গরম করে নিচ্ছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গতকাল সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সাদা মেঘের ভেলায় ঢাকা পড়েছে পুরো জনপদ।
চারিদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। বৃষ্টির ন্যায় ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে। ফলে আভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করেছে সকাল ও ভোরে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বা মোড়ে জ্বালানো হয়েছে আগুনের কুন্ডলি। চালক ও পথচারীরা হাত ও শরীর আগুনে তাপিয়ে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। দোকানীরা প্রতিষ্ঠানের খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুনের টনিক নিতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতজনিত রোগে হাসপাতালে রোগিদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা সর্দি, কাশি, নিমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ জানান, উপজেলার ৪ হাজার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও ৬০০ কম্বল বরাদ্দ মিলেছে।

০৯জানুয়ারী,২০১৮মঙ্গলবার:::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি

Please follow and like us:

Check Also

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।