ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: সিটি নির্বাচনে সেনা চায় বিএনপি।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপির বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।
অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে, তাতে তারা ক্ষমতাসীনদের আঙ্গাবাহী ভূমিকা পালন করেছে।’
রিজভী বলেন, ২০১৫ সালের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমরা দেখেছি। সেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অত্যন্ত দানবীয় কায়দায় ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। যা এখনো দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে।
তিনি বলেন ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করুন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেও বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন মানে ভোটারদের ভোটের অধিকার হরণ করা। এই সরকারের অধীনে বিগত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তা সত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কারণ এটা আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের অংশ।
শেখ হাসিনার আমলে গণতন্ত্রের কোনো স্পেস নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকার লোক দেখানোর জন্য নির্বাচন নামক শিরোনাম ব্যবহার করে। তারপরও আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতবছরের ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ১ ডিসেম্বর থেকে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করে।
এরপর গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও ৬টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ডিএসসিসির সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও ৬টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কেনা ও জমা দেওয়া যাবে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদনকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২১ ও ২২ জানুয়ারি। তা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ জানুয়ারি।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রচার চালানো যায় না। সে অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
১৫জানুয়ারী,২০১৮সোমবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি