ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সারাক্ষণ ফেসবুক নিয়েই পড়ে থাকতেন টুম্পা পাল। স্বামী না করলেও কথা শুনতেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। অবশেষে রাগের বশে স্ত্রীকে মেরেই ফেললেন সুরজিৎ।
বুধবার রাতে গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রীর শ্বাস বন্ধ করে বিছানায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করেন তার স্বামী।
চেতলার আলিপুর রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত টুম্পার স্বামী সুরজিৎ জানিয়েছেন, ফেসবুকই হয়ে উঠেছিল অশান্তির কারণ। ফেসবুকে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তার স্ত্রী।
ফেসবুক নিয়ে যে মা-বাবার মধ্যে নিত্য অশান্তি হতো, সে কথা পুলিশকে বলেছেন টুম্পা-সুরজিতের ছোট ছেলেও।
বুধবার রাতে চেতলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টুম্পার রক্তাক্ত দেহ। ওই রাতেই সুরজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে টুম্পাকে ফেসবুক থেকে বিরত থাকতে বলে আসছিলেন তার স্বামী। টুম্পা পাত্তা দেননি। বুধবার বিকালেও স্ত্রীকে তার শেষ হুশিয়ারি ছিল- ‘ফেসবুক বন্ধ করো’।
সুরজিৎ অভিযোগ করেছেন, টুম্পা ফেসবুক প্রোফাইল খোলার পর থেকে ঘর-সংসার ভুলেছিলেন। নানা অপরিচিত ব্যক্তির ফোন আসত।
তবে পুলিশ বলছে, কয়েক বছর আগে সুরজিতের সঙ্গে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও সংসারে অশান্তি কম হয়নি।
সুরজিতের দাবি, স্ত্রীকে খুনের পর তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। গলায় ফাঁস লাগাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করেন। বিফল হয়ে মোবাইল ফেলে বেরিয়ে যান। তদন্তকারীদের দাবি, হাওড়া স্টেশন দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন সুরজিৎ।
২৬জানুয়ারী,২০১৮ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি