সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরায় পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি,ঘুষ বাণিজ্য,চাঁদাবাজি,গুম,গ্রেফতার বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ। কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যকে অনত্র বদলি করা হয়েছে। এমনকি সদর ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ হাইকোট পর্যন্ত গড়িয়েছে। হাইকোর্ট ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে। এর পরও যেন থামছে না পুলিশি হয়রাণি সহ অভিযোগের নানা বিষয়। জেল গেট থেকে জামিনের পর বার বার আটক করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে ভুক্ত ভোগীকে পড়তে হয় মহা বিপাকে।
গত কয়েক বছর ধরে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের অন্ত ছিল না। গ্রেফতারের পর কয়েক ডর্জন মামলা সহ বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ জেলার পুলিশ। এমন কি পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পায়নি সরকারী দলের লোকেরাও। বাধ্য হয়ে সাতক্ষীরা সদর এমপি মীর মোস্তাক আহম্মদ রবী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুলিশি হয়রানির শিকার দলীয় সাধারণকে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যাতে পুলিশি হয়রানির শিকার যেন কেউ না হয়। এমন অবস্থায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান ব্যাতিক্রম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এখনো কেউ অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ তোলেনি।
তিনি জনসাধারনের সুবিধার্থে পৌর সভার গুরুত্ব পূর্ণ ৬ টি পয়েন্টে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে । রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেন। এসময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন আমরা জনগনের স্বার্থে ও সুবিধার্থে শহরের খুলনা রোড মোড় ও নিউমার্কেট মোড়, পাকাপোলসহ গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। জনগন সরাসরি যেয়ে অভিযোগ দিতে সাহস পায়না। তাই এই অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হচ্ছে। এসময় তিনি আরও জানান পুলিশ জনগনের পাশে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।এছাড়া পর্যাক্রমে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে এ বক্স বসানো হবে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কে এম আরিফুল হক, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন কালিগঞ্জ সার্কেল, সহকারি পুলিশ সুপার সদর হুমায়ুন কবির, ডিআইও ওয়ান মো. মিজানুর রহমান, ইন্স: আজম খান, টিআই মোমিন হোসেন।
সাতক্ষীরার কুখরালীর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শেখ মোখলেছুর রহমান জনির নিখোঁজের ঘটনায় জিডি না নেওয়া ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি জনির নিখোঁজের বিষয়ে তার স্ত্রী জেসমিন নাহার থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশকে তা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশের তিন সদস্য হলেন- সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক ওসি মো. এমদাদুল হক শেখ, বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও উপপরিদর্শক এসআই হিমেল হোসেন। বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ফের আদেশের জন্য আদালত ধার্য করেছেন।
২০১৬ সালের ৪ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে নিখোঁজ হন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জনির সন্ধান না পেয়ে গত বছরের মার্চে হাইকোর্টে তার স্ত্রী জেসমিন নাহার একটি রিট করেন। –
Check Also
ডিসেম্বরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এল ২ বিলিয়ন ডলার
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ২০০ কোটি মার্কিন (২ বিলিয়ন) ডলারের …