খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ততম ঢাকা আজ ফাঁকা হয়ে গেছে। রাস্তাগুলোতে নেই সেই নিত্যদিনের ভিড়। যানবাহন চলাচল করছে হাতেগোনা কয়েকটি। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া নগরবাসীকে আজ বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে অ্যাপসভিত্তিক পরিবহনসেবা পাঠাও, উবার, ইজিয়ার ও মুভ।
সকাল থেকেই রাজাধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রায় ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী এলাকাতেও দেখা গেছে একই চিত্র। ঢাকার বাইরে থেকে দূরপাল্লার গাড়ি এলেও তাতে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যে কয়েকজন আসছে তাদের পুলিশের তল্লাশির মাধ্যমে ছাড়া হচ্ছে।
গাবতলী দারুসসালাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিটি যানবাহনেই তল্লাশি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
মিরপুর ৬, ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর ও ভাষাণটেক এলাকার রাস্তাগুলোতে গণপরিবহন খুবই কম। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িও রয়েছে অল্প। গণপরিবহন কম থাকায় সকালে স্কুল ও অফিসগামীদের রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টেম্পো ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে রাস্তায় অসংখ্য পুলিশ ও বিজিবির সদস্যকে দেখা গেছে।
শহরের ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, শাহবাগেও নেই তেমন একটা ভিড়। প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকাও অনেকটা ফাঁকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। স্বাভাবিকের তুলনায় আজ পুলিশের উপস্থিতি অনেক বেশি।
সদরঘাটে লঞ্চ থাকলেও যাত্রী নেই বললেই চলে। অন্যসব দিনের চেয়ে আজকের চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন।
নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ মারুফ জানান, সদরঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।