ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতি কি হুলস্থুল ঘটিয়ে দিলো। অথচ লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চলে গেল। কি হয়েছে? ‘একটা মামলা নিয়ে এমন ঘটনা আমার জীবনেও দেখিনি। আমার জীবন একেবারে ছোট নয়।
নাগরিক ছাত্রঐক্যে আয়োজিত প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি আইপি লাউঞ্জে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অনেক বড় বড় মামলার ঘটনাও দেখেছি। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কাগজপত্র ছাত্ররা ছিনতাই করে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আপনারা জানেন। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি অবিস্মরণীয় একটি ঘটনা ঘটলো। একটি অঘোষিত সেমি কারফিউ টাইপের। এমনিতেই কয়েকদিন ধরে সরকারি দলের বিভিন্ন কথা-বার্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা-বার্তা মানুষের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, আমাকে কেউ কেউ বলেছেন, পাকিস্তান আমলে ঢাকা যেমন ছিল, গতকাল ঢাকা তেমন ছিল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের যিনি গর্ভনর তিনি বাহির থেকে ফিরে এসে পদত্যাগ করলেন। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো উনি (গর্ভনর) একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উনি এটা পারেননি ঠেকাতে, তাই পদত্যাগ করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে মান্না বলেন, দুর্নীতিবাজাদের যখন শেয়ার কেলেঙ্কারী হয়েছিল, তখন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন আমাদের হাত অতো শক্তিশালী নয়, ওদের ধরতে পারবো। অর্থমন্ত্রীর হাতের পরেও যদি শক্তিশালী থাকেন তারা কারা। ওরাই কি প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্যেও আছে। ব্যাংক সেক্টর শেষ হয়ে গেছে। অথচ দেশে উন্নয়নের বন্য বয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো তালুকের মতো হয়ে গেছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘যে যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন সে সেটার দখলে নেয়। অন্যান্য দলের কিছু করার থাকে না। এখানে শিক্ষার্থীরা কিসের গণতন্ত্র শিখবে?’
খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে যাবে এটা সবাই জানতো উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন নাটকও করতে পারে ভালো। আপনারা কি জানেন রায় কি হবে, উনি তো খালাসও পেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘বন, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আপনি চাঁদ পর্যান্ত গেছেন এটাই শিক্ষা।