গৃহবধু মাফুজা খাতুনের মাতা রহিমা বেগম ও ভাই লাভলু মোল্যা জানান, রতনপুর পীরগাজন গ্রামের আমির আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ ও দুরমুজখালীর আলাউদ্দীনের ছেলে জুব্বার আলীর যোগসাজসে মজিদের ছোট বোনকে মাফুজার স্বামীর সাথে বিবাহ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১/০৬/২০১৭ তারিখ সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের এড. এম.এস. ইয়ারুল হক এর মাধ্যমে ১৮১০নং ক্রমিকে ১১/০৬/২০১৭ তারিখ এভিডেভিটের মাধ্যমে অহিদুল্লাহ গাজী মাফুজা খাতুনকে তালাক দেয়। পরে স্থানীয় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি জুলফিকার, আয়জুল মোল্যা, বাবলু মোল্যা, লাভলু মোল্যা, জলিল সরদরসহ অনেক ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় নতুনভাবে অহিদুল্লাহ ও মাফুজাকে বিবাহ পড়ানো হয়। সকল দ্বন্দ ভুলে যেয়ে ২জন ঘর সংসার করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ২৫/১২/২০১৭ তারিখে সকালে মাদক সেবন করে অহিদুল্লাহ বাড়ি এসে স্ত্রী মাফুজাকে ৫০ হাজার টাকা পিতার বাড়ি থেকে আনতে হবে বলে শারিরীক নির্যাতন করে। ২ মেয়ে ও স্ত্রী মাফুজাকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে তার স্বামী অহিদুল্লাহ ২টা গরু, মাফুজার স্বর্ণের ২টি দুল, ১টি আংটি, হাতের ২টি রুলি, ১টি চেইন সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়া মজিদ ও জুব্বার আলীর সাথে আত্মগোপণ করে। কয়েকদিন পর প্রতারকর অহিদুল্লাহ নিজের কৃতকর্ম ঢাকার জন্য স্ত্রী মাফুজা ও তার ২ ভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জর্জকোর্টে সি.আর- ২৬১/১৭ একটি মিথ্যা মামলা করে। পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দিবাগত রাতে অজ্ঞাত ২/৩ জন লোকজন নিয়ে অহেদুল্লাহ মাফুজার নুরনগরে পিতার বাড়িতে মাফুজার হত্যা করার জন্য ও মুখে এসিড মারার জন্য হাতে এসিডের বোতল নিয়ে ঘোরাঘুরি ও ঘরের দরজা জানালার পাশে দাড়িয়ে থাকে। তার এই কর্মকান্ড মাফুজার ভাই লাভলু মোল্যার দৃষ্টিতে আসলে অহিদুল্লাহসহ ভাড়াটিয়া গুন্ডারা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।