মীর খায়রুল আলম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের, অবশেষে ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণার্থীদের অর্থ ফেরৎ দিলো কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রশানের টনক নড়েছে আর এতে আদায়কৃত অর্থ ফেরত দিতেও বাধ্য হয়েছে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে, দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে চুড়ান্ত তালিকা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ২ বছরের জন্য চুক্তি পত্রের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে দুর্নীতি পরায়ন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এছমোত আরা বেগম। এমনকি তার উস্কানিতে যে সব প্রশিক্ষণার্থীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল তারা এখন ভোলপাল্টিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে ১৭৪৯ আবেদনকারীদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১৫৩১জন কে এই কর্মসূচির অর্ন্তভূক্ত করা হয়। যার মধ্যে প্রথমে ১ হাজার বেকারদেরকে ২টি ব্যাচে ভাগ করে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে আবেদন কারীদের সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিয়ম বহিরভূত ভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে নির্ধারিত বয়সের বাহিরে একাধিক যুবক ও যুব মহিলাকে অর্থের বিনিময়ে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ প্রত্যেককে মূল সনদপত্র জমা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু নির্দেশনা মোতাবেক যুব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোন চুড়ান্ত যাচাই-বাছাই তালিকা প্রকাশ করেনি। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত্র ৭টা পর্যন্ত সনদপত্র জমা নিতে অফিস খুলে রেখে অপেক্ষা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এছমোত আরা বেগম জানান, যাচাই-বাছাই শেষ পর্যায় প্রায়। তবে চুড়ান্ত তালিকা বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু জানেন না। তবে টাকা আদায় ও ফেরৎ এর বিষয়ে মনিটররা জানে। ##
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …