স্টাফ রিপোর্টার : আজ মঙ্গলবার ৬ই মার্চ। ঊনিশশ’ একাত্তরে জাতীয় পরিষদ স্থগিতের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচির শেষ দিন ছিলো। দিকে দিকে স্বাধিকারকামী জনতার সশব্দ পদচারণা, প্রাণে প্রাণে লক্ষ্য জয়ের শপথ এবং অযুত সংক্ষুব্ধ কণ্ঠে গীত হচ্ছিলো পরম আকাক্সক্ষার বাণী গানরূপে। এদিনও সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়। খুলনায় গুলীবর্ষণের ঘটনায় ১০৪ জন হতাহত হওয়ার খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। ঢাকাতেও পুলিশের গুলীতে ৩৭ জন হতাহত হয়। দেশ জুড়ে বিস্ফোরণোম্মুখ অবস্থা। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে সাড়ে ১২ মিনিটের একটি ভাষণে ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশনের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেও বাহ্যিকভাবে অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটেনি। প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণের দু’ঘণ্টা পর ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ওয়ার্কিং কমিটির এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। রাতে তাদের আরেক দফা বৈঠক বসলেও কোনো প্রতিক্রিয়া তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এদিকে এদিন জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক ও গবর্নর হিসেবে ঘোষণা করায় অবস্থার আরও অবনতি ঘটলো। স্লোগান উঠলো ‘আপসের বাণী আগুনে জ্বালিয়ে দাও।’ কামরুদ্দিন আহমেদ ঐ সময়ের চিত্রটি এভাবে তুলে ধরেছেন, ‘শেখ সাহেব তার ‘৭ই মার্চের ভাষণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অন্যদিকে ছাত্রদের প্রধান কার্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল থেকে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ বাহিনী ও আনসারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছিল। ছাত্ররা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যার প্রেক্ষিতে শেখ সাহেব তার ৭ই মার্চের বক্তৃতায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বাধ্য হন। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই ৭ই মার্চের সূর্যোদয় ঘটলো।
Check Also
বিজয় দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে …