বিমান দুর্ঘটনার দায় এড়াতে চাচ্ছে কাঠমান্ডু জটিল হবে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রক্রিয়া

 সনাক্ত হওয়া লাশ আসবে মঙ্গলবার 
* দুই যাত্রীর স্বজনদের খুঁজছে দূতাবাস 
* দেশে ফিরে ঢামেকে ভর্তি আরো তিনজন
কামাল উদ্দিন সুমন : বিমান দুর্ঘটনার দায় এড়াতে চাচ্ছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল তারা কাঠমান্ডুতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দুর্ঘটনার জন্য ইউএস বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটের পাইলটের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে। ত্রিভুবন বিমানবন্দরের  জেনারেল ম্যানেজার রাজকুমার ছত্রী বলেন, ইউএসবাংলা (বিএস-২১১) ফ্লাইটটির অবতরণ ঠিক ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন ভাই প্লেনটিতে ছিলেন, তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, প্লেনটি বাম্পিং করছিল। ল্যান্ড করার আগেই আমরা কাঁদতে শুরু করি বাঁচাও বাঁচাও বলে। এ ছাড়া কট্রোল প্যানেল এবং অনেকেই আমাকে বলেছে ইট ওয়াজ নট নরমাল ল্যান্ডিং।’
দুর্ঘটনার পর টাওয়ারের একটি অডিও লিক হয়েছে, যেখানে পাইলটকে শেষ মুহূর্তে বলা হয়েছে এটা আপনার রানওয়ে না, রানওয়ে বদলান, সেটার কারণে কী পাইলট রানওয়ে পাল্টাতে চাচ্ছিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাজকুমার ছত্রী বলেন, ‘ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ৯০ ভাগ বিমান দক্ষিণ থেকে অবতরণ করে। ইউএস বাংলাকেও দক্ষিণ থেকে অবতরণ করতে বলা হয়। যখন পাইলট দক্ষিণ থেকে ল্যান্ড না করে দক্ষিণ পার হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কন্ট্রোলার বলেন, আপনাকে তো ০২ বলেছিলাম, কেন আপনি ২০ তে আসছেন, এটা তো উত্তর। তখন পাইলট বলেছেন, আমরা ২০-ই ব্যবহার করব। তখন কট্রোল প্যানেল থেকে পাইলটকে পূর্বে অপেক্ষা করতে বলা হয়।…একটা বিষয় হচ্ছে সব সময় শেষ সিদ্ধান্ত পাইলটের। নির্দেশনা পাইলটের ওপর নির্ভর করে।
এ সময় সাংবাদিকেরা ছত্রীর কাছে জানতে চান, উড়োজাহাজ নিচে নামার পর যদি রানওয়ে পাল্টাতে বলা হয়, তখন পাইলটের কী কিছু করার থাকে কি না? তিনি বলেন, না কিছু করার থাকে না।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের ত্রুটি ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ছত্রী বলেন, ‘সেটা আমরা অস্বীকার করছি না, স্বীকারও করছি না। আমাদের উচ্চপর্যায়ের তদন্তকারী দল কাজ করছে।’
দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় কোনো ত্রুটি ছিল না জানিয়ে রাজকুমার ছত্রী বলেন, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে কোনো ত্রুটি হয়নি। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল কাউকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হবে না। তবে উদ্ধারকারীদের দক্ষতায় জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়।
এদিকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় যেসব বাংলাদেশীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, তাঁদের লাশ আগামী মঙ্গলবার আনা হবে। গতকাল শুক্রবার কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের কর্মকর্তা এএসপি আবদুস সালাম।
সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের মধ্যেই নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। কাল থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব লাশ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, সেগুলো আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য এসব লাশের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাস্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনেরা চান, সবার মৃতদেহ একসঙ্গে পাঠানো হোক। সে জন্য সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্মেলনে রোববার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এদিকে নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে হতাহতের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। তারা জানায়, ১৯৯৯ মন্ট্রিয়াল চুক্তিতে বাংলাদেশ ও নেপালের স্বাক্ষরের বিষয়টি বিলম্বিত হওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ২৮ মে বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেনি। নেপাল এখনও স্বাক্ষরই করেনি। ২০১০ সালে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত সই করেনি তারা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মন্ট্রিয়াল চুক্তির ২১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিহত যাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য এয়ারলাইন্স ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৬ ডলার দেবে। সব এয়ারলাইন্সই এই ক্ষতিপূরণের জন্য ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে বীমা করে থাকে। যাত্রী ও তাদের পরিবারকে এই ইহ্ন্যুরেন্স সম্পর্কে আগেই জানাতে হয়।
তবে নেপাল ওয়ারস কনভেনশনে স্বাক্ষর করায় এয়ারলাইন্সকে এখন প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ২০ হাজার ডলার দিতে হবে। দেশটির বীমা প্রতিষ্ঠান সাগমাথার কর্মকর্তা সুভাষ দিক্ষিত বলেন, এমন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে দু’রকম নীতির মধ্যে পড়তে হবে নেপালকে।
মনট্রিয়াল চুক্তিই এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য সমঝোতা। ১৯৯৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতায় বলা হয়, যেকোনও যাত্রীর হতাহতের জন্য বিমান কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই সমঝোতায় স্বাক্ষর করার বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে খুব ধীরগতির।
তবে ওই সমঝোতার একটি কপি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এটি মন্ত্রিসভায় যাবে। এরপর আলোচনা হবে পার্লামেন্টে। এই সমঝোতা বাস্তবায়নে নতুন আইন প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিমান কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।
নেপালি স্থানীয় এয়ারলাইনগুলোর দাবি, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যেন সমান না হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করি যাত্রীরা যেখানেই ভ্রমণ করুক, তারা সবাই সমান। নেপালের ক্ষেত্রে আমরা ১৯২৯ সাল থেকে ওয়ারস সমঝোতা মেনে চলছি। সে অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীর ৮ হাজার ৩০০ ডলার পাওয়ার কথা। তবে ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে হেগে এটির সংশোধন করা হয়। হেগ প্রটোকল অনুযায়ী সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ডলারে।
তবে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের বীমা দাবির টাকা পরিশোদের প্রক্রিয়া এক মাসের মধে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স।
বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিম বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সার্ভে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, দাবি নিষ্পত্তির কাজে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের দুটি লস এডজাস্টার দল (সার্ভে টিম) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সে অনুসারে দাবি পরিশোধ করা হবে। তবে আমরা আশা করছি এক মাসের মধ্যেই দাবি পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব। দাবি পরিশোধের বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি।
নিহতদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে কী? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতি নির্ধারণ করা সম্ভব না। আর আমাদের কাছে এখনো এই বীমা পলিসির ডকুমেন্ট আসেনি। সুতরাং পলিসিতে কী আছে তা আমাদের জানা নেই। কে কেমন ক্ষতিপূরণ পাবে তা পলিসির শর্ত না দেখা বলা সম্ভব না। তবে যার ব্যর্থতার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা হোক, নিহতরা বীমা দাবির টাকা পাবেন। তবে কতো টাকা পাবেন তা সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব না।
বিষয়টি নিয়ে ইউএস বাংলার জিএম কামরুল ইসলামের বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করতে তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না।
এদিকে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুজনের কোনো স্বজন নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেননি। হতভাগ্য এই দুই যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় এই দুই যাত্রীর ছবি সংগ্রহ করেছে দূতাবাস। গত সোমবার দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত এই দুই যাত্রীর কোনো স্বজন তাঁদের খোঁজে আসেননি। বাংলাদেশী এই দুই যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও ছবি প্রকাশ করে তাঁদের স্বজনদের যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি আল আলিমুল ইমাম।
আলিমুল ইমাম বলেন, যাত্রীদের একজনের নাম বিলকিস আরা ও অপরজনের নাম পিয়াস রায়। এঁদের দুজনের ব্যাপারে দূতাবাসে কেউ কোনো যোগাযোগ করেননি। তিনি এই যাত্রীর স্বজনদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেখানে চিকিৎসাধীন আরও তিন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানি। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিকেল ৪টার দিকে তাদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশের অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশে রওনা দেয়।
মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানির চিকিৎসার বিষয়ে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, তাদের বার্ন ইউনিটের আইসিইউ ৩, ৪ ও ৫নং বেডে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অবজারভেশন করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপর কোন ধরনের চিকিৎসা দেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজন পড়লে তাদের জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।
এদিকে শুক্রবার দুপুর থেকে বিমান দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানির স্বজনদের বিমানবন্দরে অবস্থান করতে দেখা যায়। সাড়ে ৩টার পর বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেটের সামনে উপস্থিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Check Also

স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার

ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ! ভাবতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি তেমনি এক ঘটনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।