দুই দলের জয়ে বাধা বিদ্রোহী প্রার্থী দুই সিটিতে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগের ১৮০ এবং বিএনপির ৪৩ * গাজীপুরে মেয়র প্রার্থী ৭ ও খুলনায় ৫

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:    কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দুই শতাধিক। মেয়র পদে বিদ্রোহী না থাকলেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দিতে পারেনি দল দুটি। গত দু’দিন নানা তৎপরতা চালিয়ে গাজীপুরে মেয়র পদে দুই জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত হয়েছে। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জামায়াত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এতে দুই সিটিতেই জোটগতভাবে মেয়র পদে নির্বাচন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উভয় দলই।

সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে দল মনোনীত (সমর্থিত) প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল দুই দলেরই শীর্ষ পর্যায় থেকে। প্রয়োজনে বহিষ্কার করার কথাও জানানো হয়েছিল তাদের। কিন্তু এসব হুশিয়ারি আমলে না নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে রয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের ২২৩ জন। তাদের মধ্যে খুলনায় কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন ৩১ জন ও বিএনপির ২৩ জন এবং গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ১৪৯ ও বিএনপির ২০ জন বিদ্রোহী রয়েছেন। এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। বিদ্রোহীদের নিয়ে নির্বাচনী কৌশল কি হবে- তা নিয়ে পর্যালোচনা করছেন তারা।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দু’জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৭ জন মেয়র প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২৫৬ জন। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মাঠে রয়েছেন ৮৪ জন নারী প্রার্থী।

আর খুলনায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ ও সংরক্ষিত পদে ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং কাউন্সিলর সাধারণ ১৪৮ ও সংরক্ষিত ৩৮ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ সোমবার  বলেন, এবার আর কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দল থেকে বারবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ প্রার্থী হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা দ্রুতই নেয়া হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন  বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন না। তাই কয়েকটি ওয়ার্ডে এমনও আছে, তারা দলের কাউকে না জানিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তারপরও আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, প্রার্থিতা প্রতাহারের সময় শেষ হলেও যেখানে একটি ওয়ার্ডে দুই বা তিনজন প্রার্থী আছেন, সেখানে একজন রেখে বাকিরা দলের স্বার্থে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দেবেন।

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মোট ওয়ার্ড ৩১টি। এর মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থী সাধারণ ১৪৮, সংরিক্ষত ৩৮। কাউন্সিলর পদে ৩১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের। তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে শেখ আবদুর রাজ্জাক, রোজিনা বেগম রাজিয়া ও মো. শাহজাহান মিরাজ, ২নং ওয়ার্ডে এফএম জাহিদ হাসান জাকির, ৩নং ওয়ার্ডে মো. শাহা আলম মীর, ৪নং ওয়ার্ডে মো. আবু আসলাম মোড়ল, মো. ইকবাল গাজী ও মো. আফজাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডে শেখ মোহাম্মদ আলী, ৬নং ওয়ার্ডে মো. মিজানুর রহমান তরফদার, ৯নং ওয়ার্ডে এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন ও শেখ শওকাত আলী, ১০নং ওয়ার্ডে এসএম গিয়াস উদ্দিন ও কাজী তালাত হোসেন, ১১নং ওয়ার্ডে ফারজানা লিপি, শাহরিয়ার বাবু ও জামান মোল্যা, ১২নং ওয়ার্ডে চৌধুরী মিরাজুর রহমান, ১৮নং ওয়ার্ডে মো. পারভেজ আহম্মেদ পলাশ ও এসএম রাজুল হাসান রাজু, ২২নং ওয়ার্ডে মো. নূর ইসলাম শেখ, ২৩নং ওয়ার্ডে বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ ও নেতা মাছুম-উর রশিদ, ২৪নং ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামান আসাদ, ২৫নং ওয়ার্ডে শেখ শহীদ আলী, ২৭নং ওয়ার্ডে শাহ আলম মৃধা এবং ৩১নং ওয়ার্ডে মো. শরিফুল ইসলাম মুন্না, মো. পিটু মোল্লা, মো. জিয়াউল ইসলাম মন্টু, মো. কামাল হোসেন ও জিএম আবদুর রব সজল।

এর বাইরে জাতীয় পার্টি ১নং ওয়ার্ডে শাহজাহান সিরাজ, ২নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম আজাদ, ৩নং ওয়ার্ডে আশরাফুল ইসলাম সেলিম, ৪নং ওয়ার্ডে আবু আসালাত মোড়ল, ৭নং ওয়ার্ডে শেখ আইয়ুব আলী, ৯নং ওয়ার্ডে শেখ মনোয়ার হোসেন, ১০নং ওয়ার্ডে শাকিল আহমেদ, ১২নং ওয়ার্ডে মো. শাহাবুদ্দিন, ২২নং ওয়ার্ডে কাজী হাসানুর রশিদ এবং ২৭নং ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলনের ২৯ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৭ জন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ও সংরক্ষিততে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সাধারণ ১নং ওয়ার্ডে শাহজী কামাল টিপু (বিএনপি), ৬নং ওয়ার্ডে মো. মিজানুর রহমান তরফদার (আওয়ামী লীগ), মো. লুৎফর রহমান ও শেখ আনছার আলী (বিএনপি), ৭নং ওয়ার্ডে মীর মোকছেদ আলী, মো. রিয়াজ পারভেজ (বিএনপি), ৯নং ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী, কাজী ফজলুর কবির টিটো (বিএনপি), ১০নং ওয়ার্ডে এসএম গিয়াস উদ্দীন (আওয়ামী লীগ), ১১নং ওয়ার্ডে সাইদ মহিউদ্দীন (স্বতন্ত্র), শেখ শাহরিয়ার বাবু (আ’লীগ), ১২নং ওয়ার্ডে চৌধুরী মিরাজুর রহমান (আ’লীগ), ১৫নং ওয়ার্ডে সমীর কুমার দত্ত (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান বিশ্বাস (বিএনপি), ১৬নং ওয়ার্ডে এসএম রাজীব উল আলম (স্বতন্ত্র), ১৮নং ওয়ার্ডে পারভেজ আহম্মেদ পলাশ (আ’লীগ), ২০নং ওয়ার্ডে শেখ মোহাম্মদ আলী (আ’লীগ), মীর মো. লিটন (আ’লীগ), শেখ মো. মিলকন হোসেন (স্বতন্ত্র), ২২নং ওয়ার্ডে আফজাল হোসেন (বিএনপি), কাজী হাসানুর রশীদ (জাপা), ২৩নং ওয়ার্ডে মাছুমুর রশিদ (আ’লীগ), ২৪নং ওয়ার্ডে এইচএম সাজ্জাদ হোসেন চঞ্চল (স্বতন্ত্র), ২৫নং ওয়ার্ডে মো. তৈয়েবুর রহমান (বিএনপি), ২৬নং ওয়ার্ডে এসএস সিরাজুল ইসলাম (বিএনপি), ২৭নং ওয়ার্ডে মো. শাহ আলম মৃধা (আ’লীগ), কেএম হুমায়ুন কবির (বিএনপি), ৩০নং ওয়ার্ডে মো. মেজবাহুল আক্তার (বিএনপি), চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ (বিএনপি), ৩১নং ওয়ার্ডে মো. কামাল হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. পিন্টু মোল্লা (আ’লীগ), জিয়াউল ইসলাম (আ’লীগ), মো. শহিদ খান ও জিএম আফসার (বিএনপি)। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ডে শাহনাজ পারভীন (স্বতন্ত্র), ৫নং ওয়ার্ডে মোছা. আনজিরা খাতুন (বিএনপি), ৮নং ওয়ার্ডে হালিমা ইসলাম (স্বতন্ত্র) এবং ৯নং ওয়ার্ডে লুৎফর নাহার ও কাওছারী জাহান (স্বতন্ত্র) প্রত্যাহার করেছেন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে শাহাদাৎ মিনা, ২নং ওয়ার্ডে মো. সাকিল আহমেদ, ৩নং ওয়ার্ডে মাস্টার আবদুস সালাম, ৪নং ওয়ার্ডে মো. গোলাম রাব্বানী, ৫নং ওয়ার্ডে মো. হারুন অর রশিদ, ৬নং ওয়ার্ডে এসএম ওয়াজেদ আলী মজনু, ৭নং ওয়ার্ডে শেখ সেলিম আহমেদ, ৮নং ওয়ার্ডে মো. সাহিদুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ডে মোল্লা হায়দার আলী, ১০নং ওয়ার্ডে ডা. এসএম সায়েম মিয়া, ১১নং ওয়ার্ডে মুন্সি আবদুল ওয়াদুদ (মুক্তিযোদ্ধা), ১২নং ওয়ার্ডে মো. আসলাম খান মুরাদ, ১৩নং ওয়ার্ডে এসএম খুরশীদ আলম টোনা, ১৪নং ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান জমাদ্দার, ১৫নং ওয়ার্ডে মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, ১৬নং ওয়ার্ডে শেখ আবিদ উল্লাহ, ১৭নং ওয়ার্ডে এসএম মনিরুজ্জামান সাগর, ১৮নং ওয়ার্ডে টিএম আরিফ, ওয়ার্ড- ১৯ হাজী মো. মোতালেব মিয়া, ২০নং ওয়ার্ডে চ. ম. মুজিবর রহমান, ২১নং ওয়ার্ডে শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, ২২নং ওয়ার্ডে কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, ২৩নং ওয়ার্ডে বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, ২৪নং ওয়ার্ডে এএনএম মাঈনুল ইসলাম নাসির, ২৫নং ওয়ার্ডে মো. আলী আকবর টিপু, ২৬নং ওয়ার্ডে শেখ আবদুল আজিজ, ২৭নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন, ২৮নং ওয়ার্ডে আজমল আহমেদ তপন, ২৯নং ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৩০নং ওয়ার্ডে এসএম মোজাফফর রশিদী রেজা এবং ৩১নং ওয়ার্ডে এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- ০১নং (ওয়ার্ড ০২ ও ০৩) ফাতেমা তুজ জোহরা, সংরক্ষিত আসন- ০২ (ওয়ার্ড- ০৪, ০৫ ও ১৬) সাহিদা বেগম, সংরক্ষিত আসন- ০৩ (ওয়ার্ড- ০৭, ০৮ ও ১০) রেহানা গাজী, সংরক্ষিত আসন- ০৪ (ওয়ার্ড- ১১, ১২ ও ১৩) পারভীন আক্তার, সংরক্ষিত আসন- ০৫ (ওয়ার্ড- ০৯, ১৪ ও ১৫) তাসলিমা আক্তার লিমা, সংরক্ষিত আসন- ০৬ (ওয়ার্ড- ১৬, ১৭ ও ১৮) আমেনা হালিম বেবী, সংরক্ষিত আসন- ০৭ (ওয়ার্ড- ১৯, ২০, ২৫ ও ২৬) মাহমুদা বেগম, সংরক্ষিত আসন- ০৮ (ওয়ার্ড- ২১, ২২, ২৩) হালিমা ইসলাম, সংরক্ষিত আসন- ০৯ (ওয়ার্ড- ২৪, ২৭, ২৮) নিভানা পারভীন এবং সংরক্ষিত আসন- ১০ (ওয়ার্ড- ২৯, ৩০, ৩১) লুৎফুন নেছা লুৎফা।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেয়। কিন্তু এসব ওয়ার্ডে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বাইরেও প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

অপরদিকে বিএনপি দলীয় ভাবে ৫৭টি ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। কিন্তু বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৬ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন ওসমান গনি লিটন, এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন ৪ জন। এরা হলেন- মো. রহিম খান, আ. আলিম, শওকত ইমরান ও মো. মামুনুর রশীদ। এ ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থক বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুস সালাম আহাম্মেদ আব্বাস জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২নং ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৮ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হচ্ছেন হাজী আবদুল হামিদ। এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন ৩ জন। এরা হলেন- মো. আরিফ মোল্লা, মো. রহিদুল ইসলাম ও মো. নূরুল ইসলাম। এ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।

৫নং ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন মো. সোহরাব উদ্দিন। এ ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। বর্তমান কাউন্সিলর মো. দবির উদ্দিন সরকারকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না দেয়ায় তিনিসহ মো. আক্কাস আলী দেওয়ান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।যুগান্তর

Check Also

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল

র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।