ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: আশ্রমে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের ‘স্বঘোষিত ধর্মগুরু’ আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরো দুজনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভেতরেই আজ বুধবার বিশেষ আদালত বসিয়ে আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলার রায় দেওয়া হয়। মামলায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালেই যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পৌঁছে যান বিচারক।
এদিকে আসারাম বাপুর বিচারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকেই সংশোধনাগারের চারদিকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে বলে জানা যায়।
মামলা চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
২০১৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে মানাই গ্রামে নিজের আশ্রমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসারাম বাপু। এ ছাড়া গুজরাটের সুরাতেও আসারাম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন দুই বোন।
এরপর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে আসারাম বাপু গ্রেপ্তার হন। তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। সেই থেকেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন আসারাম বাপু।
৭৭ দিন তদন্তের পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে এক হাজার ১১ পাতার অভিযোগপত্র দাখিল করেন যোধপুর পুলিশ। এই মামলায় মোট ৫৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন আসারাম বাপুর আশ্রমের মুখপাত্র নীলম দুবে।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় আসারাম বাপুর মামলাকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় যোধপুর এলাকাকে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে।
একই সঙ্গে রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায়ও জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। কেননা, এই তিন রাজ্যে আসারাম বাপুর প্রচুর ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছেন।
এমনকি মামলার বাদী সেই কিশোরীর বাড়ির বাইরেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।